জাতীয় দিবস হবে ঐতিহাসিক ৫ আগস্ট, ঘোষণা শীঘ্রই 

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান  © সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। যার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয় অন্য এক বাংলাদেশের। ঐতিহাসিক ওই দিনটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। জাতীয় দিবস হলে দিনটি সাধারণ ছুটি হিসেবেও ঘোষণা হবে। তবে জাতীয় দিবসটির নাম কী হবে এখনও তা চূড়ান্ত হয়নি। 

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক রয়েছে। বৈঠকে যেসব এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হবে, তার মধ্যে এটিও থাকছে। উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আলোচনার পর চূড়ান্ত ঘোষণা আসতে পারে।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই ও আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে নতুন দিবস যুক্ত হতে পারে।’ বাংলাদেশের ইতিহাস নতুন করে লেখা হবে, সেখানে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে বলে জানিয়েছেন এই উপদেষ্টা।

এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীসহ জাতীয় ৮টি দিবস বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বাতিল হওয়া আটটি দিবসের মধ্যে পাঁচটিই শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত। এর মধ্যে রয়েছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট শেখ হাসিনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস, ১৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল দিবস। এ ছাড়া বাতিলের তালিকায় রয়েছে ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস, ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস।


সর্বশেষ সংবাদ