পোশাক খাতে ক্রয়াদেশ স্থানান্তর করেনি বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক ক্রেতা: মার্কিন সংস্থার প্রতিবেদন

পোশাক প্রস্তুতকারক
পোশাক প্রস্তুতকারক  © সংগৃহীত

রাজনৈতিক অস্থিরতায়ও বাংলাদেশ থেকে ক্রয়াদেশ স্থানান্তর করেনি বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক ক্রেতা। কোনো ব্র্যান্ড বা কোম্পানি কারখানা মালিকদের জরিমানাও করেনি। মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস রিসোর্স সেন্টারের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। তবে, তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বলছে, সেপ্টেম্বরের অস্থিরতায় আগামী ৩ মাসের কিছু ক্রয়াদেশ স্থানান্তর করেছেন ক্রেতারা।

এর আগে জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর তৈরি পোশাক খাতে অস্থিরতা তৈরি হয়। বেশকিছু প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে এ খাত। আশঙ্কা দেখা দেয় বাংলাদেশ থেকে ক্রয়াদেশ অন্যদেশে সরে যাওয়ার। তবে, মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস রিসোর্স সেন্টারের সেপ্টেম্বর মাসের প্রতিবেদনে খুব ক্রয়াদেশ স্থানান্তরের তথ্য মেলেনি।

২০ ক্রেতা ও কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। এসব ক্রেতা ও কোম্পানির মধ্যে ক্রয়াদেশ স্থানান্তরের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি ১২টি কোম্পানি। ওই সময়ে কোনো ব্র্যান্ড বা কোম্পানি জরিমানাও করেনি কারখানা মালিকদের। তবে, স্থানান্তর সংক্রান্ত কোনো তথ্য দেয়নি একটি কোম্পানি। বাকি সাতটি ব্র্যান্ড ওই গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়নি।

এদিকে, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএ জানিয়েছে আন্দোলনের সময় কোনো আদেশ বাতিল-স্থানান্তর হয়নি বা জরিমানা করাও হয়নি। তবে সেপ্টেম্বরের অস্থিরতায় যে জটিলতা তৈরি হয় তাতে কিছু ক্রেতা ক্রয়াদেশ স্থানান্তর করেছে। 

এ ব্যাপারে বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, ‘এই জটিলতাগুলো কবে নাগাদ স্থিতিশীল হবে, তার ওপর ভিত্তি করে হয়ত কেউ এমন স্থানান্তর করেছে বা করবে। এক্ষেত্রে কোনো প্রোডাক্ট অন্য কোথাও পাওয়া গেলে সেক্ষেত্রে ক্রেতা ও বিক্রেতা হয়ত এমন সিদ্ধান্ত নিতেও পারে।’

এদিকে, অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে হওয়া ক্ষতি পোষাতে সরকারের কাছে এক বছরের জন্য সহজ শর্তে ঋণ চেয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। সরকারের পক্ষ থেকেও দেওয়া হয়েছে সহায়তার আশ্বাস।


সর্বশেষ সংবাদ