আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে স্বেচ্ছায় শ্রম দিতে আসা তরুণদের ভিড়

আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে স্বেচ্ছায় শ্রম দিতে আসা তরুণদের ভিড়
আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে স্বেচ্ছায় শ্রম দিতে আসা তরুণদের ভিড়  © সাব্বির আহমেদ

ইতিহাসের ভয়াবহতম বন্যায় কবলিত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় দশটি জেলা। বন্যার শুরু থেকেই প্রত্যক্ষ সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো শায়খ আহমাদুল্লাহ পরিচালিত ‘আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’। তারই ধারাবাহিকতায় ২২ই আগস্ট সংগঠনটির পক্ষ থেকে ৫০০ টন শুকনা খাবার এবং প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী সহায়তা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। এই ত্রাণ সামগ্রী প্রস্তুত কার্যক্রমের জন্য ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কিছু ভলান্টিয়ার চাওয়া হয়।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল ৯ টায় এবং বিকাল ৩টায় দুই শিফট এ কাজ করার জন্য ভলান্টিয়ার চাওয়া হয়েছিলো গতকাল বৃহস্পতিবার। 

সরেজমিনে দেখা যায়, আজ ভোর ছয়টার পর থেকেই আস সুন্নাহ পরিচালিত মাদ্রাসা-মাদ্রাসাতুস সুন্নাহএ জড়ো হতে থাকেন স্বেচ্ছাসেবীরা। 

সেচ্ছাসেবী সংগঠনটির মানব সেবা বিভাগের (চ্যারিটি এন্ড সোশ্যাল সার্ভিস বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার এবং ত্রাণসামগ্রী কার্যক্রম সমন্বয়ক জনাব মাহবুবুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সকাল ৯টা বাজার আগেই কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবী জড়ো হয়ে যান মাদ্রসাতুস সুন্নাহর মাঠে। পরবর্তীতে সকলকেই পালাক্রমে এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে দুপুরের দিকে আস সুন্নাহর অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ থেকে ঘোষণা দিয়ে অতিরিক্ত স্বেচ্ছাসেবীদেরকে আসতে বারণ করা হয়৷ 

স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতে সাভার থেকে আসা সাইফুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমি ফেনি কিংবা নোয়াখালী যেতে পারছি না তাই চলে এলাম এখানে নিজের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যোগ করতে।’

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরিজীবী সাব্বির আহমাদ বলেন, ‘আমি সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে সময় পাইনা তাই আজ সকাল সকাল চলে এলাম স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে৷’

অন্য এক স্বেচ্ছাসেবী জানান, তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী, তিনি বাবা মায়ের জন্য প্রত্যক্ষ কাজ করতে পারছে না বলে ছুটে এসেছেন শহরের এক প্রান্ত থেকে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সাথে কাজ করার জন্য।’

উল্লেখ্য, আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন তিনটি পর্যায়ে তাদের এই বন্যা দুর্গতদের জন্য সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। প্রথম পর্যায়ে খুব দ্রুত শুকনো খাবারের এবং ওষুধের ব্যবস্থা, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০ থেকে ১৫ দিনের খাদ্যসামগ্রী ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবস্থা এবং শেষ ধাপে বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম।


সর্বশেষ সংবাদ