‘শিক্ষার্থীরা ডিবিতে স্বেচ্ছায় গেলে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছে না কেন?’

  © সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক যদি পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি) কার্যালয়ে স্বেচ্ছায় যায়, তাহলে তারা কেন স্বাধীন চলাফেরা করতে পারছে না বিষয়টি আদালতের কাছে তুলে ধরেছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী ব্যারিস্টার সারা হোসেন। সোমবার (২৯ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে অবিলম্বে মুক্তি দিতে এবং আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, ‘সংবিধানের ১০২ ধারায় বলা আছে, কাউকে যদি কোনো আইনি ক্ষমতা ছাড়া বা বেআইনিভাবে কারো হেফাজতে রাখা হয়, এটা নিয়ে আদালত নির্দেশ দিতে পারবেন তাকে সেখান থেকে মুক্ত করার জন্য। আমরা সেই আদেশটি চেয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘টেলিভিশন ও পত্রিকার মাধ্যমে পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি) পরিষ্কার স্টেটমেন্ট শুনেছি, তাদের হেফাজতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক রয়েছেন। এ বিষয়টি ডিবি বার বার বলেছে, সবার কাছে স্বীকারও করেছে। আবার ওই ছাত্রদের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেছে, এটাও তারা দেখিয়েছে।’  

এই আইনজীবী বলেন, ‘কিন্তু ডিবি ছয় ছাত্রের সম্মতি নিয়ে তাদের হেফাজতে রেখেছেন, এমন কথা আমরা কোথাও পাচ্ছি না। ছাত্রদের পরিবারের সদস্যরা এবং শিক্ষকরা দেখা করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাদের দেখা করতে দেয়া হয়নি। ডিবির এক কর্মকর্তা বলেছেন তারা দেখা করতে পারবেন না।’  

‘ছয় শিক্ষার্থী যদি স্বেচ্ছায় যায়, তাদের আটক না রাখা হয় তাহলে কেন কারো সঙ্গে তাদের কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না, দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। নিজেদের স্বাধীন মতো কেন তারা চলাফেরা করতে পারছে না? আমরা বিষয়গুলো আদালতের সামনে তুলে ধরেছি। আশা করছি আদালতে এ ব্যাপারে সঠিক জবাব দেবেন’ বললেন সারা হোসেন।    

তিনি বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপক্ষের কাছে যেসব টেকনিক্যালিটি শুনেছি যে, তাদের ডিটেনশন করা হয়নি। ডিটেনশনের আদেশ এখানে নেই। কাগজপত্রে ভুলভাল রয়েছে। যখন একজনের জীবনের অধিকার নিয়ে এখানে কথা হচ্ছে, ব্যক্তি স্বাধীনতা নিয়ে কথা হচ্ছে তখন টেকনিক্যালিটি দেখাতে হয় না। সংবিধান বুঝতে হয়। সংবিধানের মধ্যে কার কি দায়িত্ব রয়েছে সেটা বুঝতে হয়।’


সর্বশেষ সংবাদ