টাকার বিনিময়ে কমিটি, ছাত্রলীগ নেতার কল রেকর্ড ভাইরাল

আব্দুল্লাহ আল মামুন
আব্দুল্লাহ আল মামুন  © টিডিসি ফটো

বরগুনার আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সবুজ টাকার বিনিময়ে কমিটি দেওয়ার কথোপকথন (কল রেকর্ড) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গত বুধবার ২৯ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড ভাইরাল হলে ওই সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বেশ কিছু ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।  

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ডে শোনা যায়, ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি সাধারণ সম্পাদকের নাম ধরে বলে নিজের পছন্দমতো লোককে কমিটি দেওয়ার অনুরোধ করে কত টাকা দিতে হবে বলে জানতে চান। কত দিতে পারবেন?- বলে জানান ওই সাধারণ সম্পাদক। কথোপকথনে ২০ বলে দাবি করেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। উত্তরে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের মাধ্যমে দেওয়ার কথা বলেন অপর প্রান্তে থাকা ওই ব্যক্তি।

আমান উল্লাহ রহমান নামের এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, আমাকে আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের সভাপতি ও আমার এক বন্ধুকে সাধারণ সম্পাদক করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুজনার কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন সবুজ। আমি জমি বন্ধক রেখে টাকা দিয়েছি এবং ওই বন্ধুর টাকার জামিনদার ছিলাম। সাধারণ সম্পাদক সবুজ আমাদের পদও দিলো না, টাকাও ফেরত দেয়নি। নানা বাহানায় ঘুরিয়ে এখন আমার মোবাইল রিসিভ করেন না।

আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন ফকির বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের কমিটির বিনিময়ে টাকা লেনদেন করার কথা বলার একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। হলদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা রায়হানের আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলার কল রেকর্ড এটি।  

তবে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন সবুজ ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ডটি সুপার এডিট দাবি করে বলেন, কল রেকর্ডটি অনেক আগের। ২০১৭ সালে আরও একবার ভাইরালের কথা জানান আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগের এই নেতা। 

বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরান বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সবুজের  ভাইরাল কল রেকর্ড ও অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে সত্যতা পেলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

সর্বশেষ সংবাদ