মিল্টনের সেই আশ্রমে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৪, ১২:৩৫ AM , আপডেট: ২৮ মে ২০২৪, ১২:৩৯ AM
বহুল আলোচিত মিল্টন সমাদ্দারের গড়া প্রতিষ্ঠান ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারে’ প্রশাসক নিযুক্ত করেছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। রোববার (২৬ মে) সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. রকনুল হকের স্বাক্ষতির এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সমাজসেবা কর্তৃক প্রশাসক নিযুক্ত হওয়ায় আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের সাময়িক দায়িত্ব অফিসিয়ালি প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেল ৩টায় কল্যাণপুরস্থ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে মিরপুর মডেল থানার আরেক মামলায় মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। রোববার (২৬ মে) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত শুনানি শেষে এ রায় দেন।
এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সিকদার মহিতুল আলম তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আজ আদালতের মিরপুর মডেল থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ২ মে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জালজালিয়াতির মাধ্যমে মৃত্যু সনদ তৈরি করার অভিযোগে করা মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তিন দিনের রিমান্ড শেষে গত ৫ মে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। তখন এ মামলায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর জোনাল টিমের উপপরিদর্শক মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
এ ছাড়া মানবপাচার আইনের আরেক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে ডিবি পুলিশ। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালত এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখান। ওইদিন দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত তার ফের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রাজধানীর মিরপুর থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম।
গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে মিরপুরের পাইকপাড়া এবং বরিশালের উজিরপুরের সাধারণ মানুষজন। এ ছাড়া বুধবার রাতেই রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই ভুক্তভোগীদের অনেকে মিল্টনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেন।
প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ষাট লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের। অভিযোগ রয়েছে এ বিশাল অনুসারীদের কাজে লাগিয়ে তার মূল টার্গেট ছিল বিভিন্ন মানবিক কাজ প্রচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।