স্বপ্ন ছিল পাইলট হবেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলেও ভর্তি হননি আসিম

প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় নিহত বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ
প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় নিহত বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ  © সংগৃহীত

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় নিহত বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ রিফাত বৃহস্পতিবার সকালে ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান নিয়ে চট্টগ্রামের জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করেছিলেন। উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খাঁন তার সঙ্গে ছিলেন। ফেরার সময় বিমানটি কর্ণফুলী নদীতে দুর্ঘটনায় পড়ে। দুই পাইলট জরুরি অবতরণ করেন। কিন্তু বাঁচানো যায়নি আসিম জাওয়াদকে।

আসিম জাওয়াদের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। বাবা মোহাম্মদ আমানউল্লাহ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক। মা নিলুফার খানম সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। মেয়ে, ছেলে, স্ত্রী ও বাবা-মাকে ছেড়ে তিনি চলে গেলেন।

বাবা-মায়ের কাজের সুবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে থেকেছেন আসিম জাওয়াদ। তিনি সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। ২০১০ সালে যোগ দেন বিমান বাহিনীতে। মানিকগঞ্জের দাশরা এলাকায় বাসায় থাকেন তারা।

আরো পড়ুন: পিস্তল দিয়ে ভয় দেখানোর ঘটনা বানোয়াট-মিথ্যাচার: রাবি ছাত্রলীগ সম্পাদক

নিহত রিফাতের খালা পারভীন আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, বাবা-মায়ের ইচ্ছে ছিল আসিম জাওয়াদ ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু তার স্বপ্ন ছিল পাইলট হবে। বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেলে সুযোগ পেয়েও ভর্তি হয়নি। পাইলট হয়ে স্বপ্ন পূরণ করেছে। বিমান দুর্ঘটনায়ই তার মৃত্যু হলো। আসিম জাওয়াদের স্ত্রী তাদের মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে বিমান বাহিনীর ঘাঁটি জহরুল হকের অফিসার্স আবাসিক এলাকায় আছেন।

খালাতো ভাই মশিউর রহমান শিমুল বলেন, আসিম জাওয়াদ খুব মেধাবী ছিলেন। পরীক্ষায় দ্বিতীয় হননি কখনো, প্রথম হয়েছেন। খুব মিশুক ছিলেন তিনি। রোজার ঈদের ছুটিতেও তিনি বাড়ি এসেছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence