মহিউদ্দিন রনির সঙ্গে ‘অবৈধ সম্পর্ক’ দাবি স্যান্ডির, পাল্টা আল্টিমেটাম রনির

মহিউদ্দিন রনি ও স্যান্ডি সাহা
মহিউদ্দিন রনি ও স্যান্ডি সাহা  © সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের রেল ব্যবস্থাপনাসহ নানা খাতে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আলোচনায় আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। তবে এবার তাকে নিয়ে আলোচনার বিষয় ভিন্ন। সম্প্রতি তার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কসহ নানা অপ্রীতিকর কর্মকান্ডের অভিযোগ এনেছেন ভারতীয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর স্যান্ডি সাহা। এ ঘটনার জেরে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এমন সম্পর্ক বা ঘটনার কোনো প্রমাণ না দিতে পারলে পাল্টা আন্তর্জাতিকভাবে আইনি পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন রনি। 

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় বিষয়টি নিয়ে বিস্তর কথা বলেন মহিউদ্দিন রনি। 

এর আগে স্যান্ডি সাহার এমন অভিযোগের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় জিডি করেন রনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসব আইনি পদক্ষেপ বন্ধ না করলে রনির সাথে তার অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন স্যান্ডি। তবে এসব অভিযোগ পুরোপুরি নাকচ করে স্যান্ডি সাহার এমন বক্তব্য ও চিন্তাধারাকে বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ হিসেবে আখ্যা দিয়ে ঘটনার তথ্য-প্রমাণ আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ করার আল্টিমেটাম দিলেন রনি।

এক ভিডিও বার্তায় স্যান্ডি সাহাকে রনির উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমার সাথে তোমার অবৈধ সম্পর্ক ছিল।’ সেই গোপন তথ্য সবার সামনে খুলে দেওয়ার হুমকি দিয়ে স্যান্ডি বলেন, ‘আমার অন্যজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোয় তা মেনে নিতে না পেরে রনি থানায় অভিযোগ করেছে।’ 

এরপর এমন কোনো অভিযোগ বা মামলা আবার করলে রনিকে কক্সবাজারের গোপন ভিডিও ও ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেন স্যান্ডি। এ সময় কক্সবাজারে বিভিন্ন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার কথাও বলতে শোনা যায় তাকে।

এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করা ভিডিও বার্তায় মহিউদ্দিন রনি বলেন, বিকৃত যৌনাচার প্রচারের দায়ে ভারতীয় নাগরিক স্যান্ডি সাহার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় অভিযোগ করেছি।

রনি বলেন, স্যান্ডি সাহার এমন কথা শুনে আমার ঘৃণা হচ্ছে। আমি এখনও ঢাবিতে পড়াশোনা করছি। সেটাও সে জানে না। আমি খুব সম্প্রতি কক্সবাজারে গিয়েছিলাম ডিপার্টমেন্টের কাজে। সেখানে আমার শিক্ষকরা ছিলেন। এছাড়া অন্যান্য শিক্ষার্থী ও ব্যাচমেটরা ছিলেন। তাই স্যান্ডি সাহা যে অভিযোগগুলো এনেছে তা ভিত্তিহীন। 

স্যান্ডি দুইটি কারণে তার বিরুদ্ধে এমন কাজ করতে পারেন বলে জানান রনি। তিনি বলেন, হয় তিনি হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বা সুনাম নষ্ট করার জন্য সেচ্ছায় মিথ্যাচার করছেন অথবা তিনি খুব সম্ভবত বিকৃত মস্তিষ্কের একজন মানুষ। তিনি যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তা কোনোদিন সফল হবে না বলেও জানান রনি।

তিনি আরও বলেন, একটা মানুষ কতটা নিচে নামতে পারে তার প্রমাণ তিনি (স্যান্ডি) দিয়ে দিয়েছেন ইতিমধ্যে। তার ব্যাপারে থানায় জিডি করেছিলাম তবে মামলা দেয়নি। ভেবেছিলাম তিনি হয়কতো নিজেকে সংশোধন করবেন। কিন্তু এখন আমার মনে হচ্ছে তাকে এই সুযোগটা দেয়া ঠিক হয়নি। 

আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে স্যান্ডি সাহাকে সকল তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করার আল্টিমেটাম দিয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে রনি বলেন, তথ্য প্রমাণ না দিতে পারলে আপনাকে চরমভাবে এর মাশুল দিতে হবে। আপনার সাথে যারা যারা যুক্ত আছে, বাংলাদেশে আপনি যাদের হয়ে কাজ করছেন এবং যারা আপনাকে প্রমোট করছে অবশ্যই তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করবো।

দুই বাংলার মধ্যে যে সম্প্রীতি রয়েছে তা নষ্ট করার জন্য কিছু মানুষ উঠে পড়ে লেগেছে জানিয়ে তিনি ওপার বাংলার মানুষদের স্যান্ডি সাহাকে সংশোধনের চেষ্টা করার জন্য অনুরোধ জানান। এ সময় স্যান্ডিকে মানুষের কাতারে ফিরে আসারও আহ্বান জানান তিনি।

বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে যেভাবে মৌলবাদী বলার চেষ্টা করছেন এই প্রচেষ্টা সফল হবে না— বলেন রনি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সমকামিতার প্রচার যারা করছে তাদের সাফায় যারা গেয়ে যাচ্ছিলেন তারা এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে পারেন যে, আপনারা এদের যেভাবে প্রশ্রয় দিচ্ছেন তাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কি ক্ষতি হতে পারে। আপনার নিজের এবং পরিবারেরও কী ক্ষতি হতে পারে।

 


সর্বশেষ সংবাদ