নারী-পুরুষ কিসে আটকায়, জানালেন আহমাদুল্লাহ

আহমাদুল্লাহ
আহমাদুল্লাহ  © ফাইল ছবি

জাস্টিন ট্রুডোর ক্ষমতায়, বিল গেটসের টাকায়, ফুটবলার হাকিমির জনপ্রিয়তায়, হুমায়ন ফরিদীর ভালোবাসায়, তাহসানের কন্ঠে কিংবা হৃতিক রোশানের স্মার্টনেসে—কোন কিছুই নারীকে আঁটকাতে পারেনি। নারী আসলে কিসে আটকায়? সাম্প্রতিক সময়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই একটা প্রশ্নের ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

আসলে নারী-পুরুষ কিসে আটকায়? কিংবা ইসলাম ধর্মে নারী-পুরুষের আটকানোর কোনো স্থান নির্ধারণ করা আছে কিনা— জানতে চাইলে ধর্মীয় বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, কিছুদিন পরপর অহেতুক আলোচনার একেকটা আইটেম বের হয়। ওই আইটেমের ওপর আমরা নানা মত দেই। আমাদের মেধা ও বুদ্ধিকে কাজে লাগাই। যথেষ্ট সময় ব্যয় করি।

তিনি বলেন, কেউ বলছে, নারীকে প্রেসিডেন্টও আটকাতে পারে না। আবার কেউ বলছে, অমুক অমুক দিয়ে নারীকে আটকানো যায়। যার যার মতো চিন্তা গবেষণা করে সবাই মতামত দিচ্ছে। 

‘‘একজন মুসলমান হিসেবে নারী ও পুরুষ সবারই আটকানোর একটাই জায়গা আছে। সেটি হলো- আল্লাহ ও তার রাসুলের আদেশ ও নিষেধ। মুসলমান পুরুষ হোক বা নারী, বৃদ্ধ হোক বা যুবক, ধনী হোক বা গরীব—যখন কিছু করতে গিয়ে দেখবে যে, এ বিষয়ে আল্লাহর এই আদেশ আছে বা এই নিষেধ আছে, তখন সে আটকে যাবে।’’

আহমাদুল্লাহ বলেন, আসলে আমরা এমন একটি সমাজে বসবাস করছি, যেই সমাজের স্রোত হলো আখেরাত পরিপন্থী; ঈমানের বিপরীত। যার কারণে এসব অহেতুক বিষয় নিয়ে মাতামাতি। একজন ঈমানওয়ালার কাছে এসব হাস্যকর মনে হবে।

তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা যেহেতু নির্দেশ করেছেন, তুমি (নারী) তোমার সংসার জীবনে এই এই পদ্ধতি অবলম্বন করো, সবর করো, শোকর করো। সুতরাং এটা তার ঠেকার জায়গা। কেননা নির্দেশটা আল্লাহ তায়ালারই।

‘‘ঠিক একই কথা পুরুষের জন্যও প্রযোজ্য। স্ত্রীর প্রতি অন্যায়, অবিচার করা নিষেধ। তিনি আদেশ করেছেন- স্ত্রীদেরকে ভালোবাসার, তাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করার এবং সুন্দরভাবে সংসার জীবন অতিবাহিত করার। ছোটলোকের মতো আচরণ স্ত্রীদের সাথে করা যাবে না। সুতরাং এসব বিষয়ে পুরুষ আটকে যাবে।’’

নারী-পুরুষের আটকানো নিয়ে আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, ‘‘মুসলমানদের আটকানোর আর কোনো জায়গা নেই। সেটা পুরুষ হোক বা নারী হোক। এটি আমার দৃষ্টিভঙ্গি।’’


সর্বশেষ সংবাদ