ভোলায় নতুন একটি কূপে গ্যাসের সন্ধান

  © সংগৃহীত

ভোলায় ইলিশা-১ নামের আরেকটি নতুন কূপে গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে রাষ্ট্রীয় কোম্পানি- বাপেক্স। গত ডিসেম্বরে কুপটির খনন কার্যক্রম শুরু হয়। ৩ হাজার ৪শ’ ২৮ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করা হয় এই কুপটি। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সফলভাবে এর ডিএসটি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ১৫ মে’র মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উৎপাদন শুরু করবে বাপেক্স। এতে দৈনিক ২ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা বাপেক্সের।

ইতোপূর্বে ভোলায় আরও ছয়টি কূপ খনন করা হয়েছে। দুই বছর আগে বাপেক্সের একটি অনুসন্ধান দল ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ করে গ্যাসের জন্য সম্ভাবনাময় বিবেচিত ভোলার তিনটি স্থানে গ্যাসের সন্ধান পায়। পরে সেগুলোর নাম দেয়া হয় ইলিশা-১, ভোলা নর্থ-২ ও টবগী-১ গ্যাস কূপ। এগুলো নিয়ে দ্বীপ জেলা ভোলায় মোট গ্যাস কূপের সংখ্যা দাঁড়ায় ৯টি।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানির (বাপেক্স) ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন।

তিনি বলেন, এখন পরীক্ষামূলক কাজ চলছে। মাটির তিন হাজার ৪৩৩ মিটার গভীরতায় গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। এটি প্রায় চার কিলোমিটার বিস্তৃত। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৫ মে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে।

বাপেক্সের ধারণা, দৈনিক এই কূপে ২০-২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। এতে ১৮০-২০০ বিসিএফ ঘনফুট গ্যাসের মজুত আছে। তবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে আরও সময় লাগবে বলে জানালেন বাপেক্সের কর্মকর্তারা।

বাপেক্সের তথ্যমতে, ১৯৮৬ সালে ভোলায় একটি দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপের মাধ্যমে শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। পেট্রোবাংলা ১৯৮৭ সালে তৃতীয় ধাপে আরেকটি ভূকম্পন জরিপ পরিচালনা করে। জরিপের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯৪ সালে শাহবাজপুর-১ গ্যাসক্ষেত্রে খনন কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর সদর ও বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মোট আটটি কূপ খনন করা হয়। ইলিশা-১ নিয়ে মোট নয়টি কূপে গ্যাস মজুতের বিষয়টি নিশ্চিত হলো। এতে মজুতের পরিমাণ প্রায় ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence