দেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৩০ হাজার

দেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৩০ হাজার
দেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৩০ হাজার  © সংগৃহীত

দেশে বর্তমানে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৩০ হাজার। এর মধ্যে বেকার পুরুষের সংখ্যা ১৬ লাখ ৯০ হাজার আর বেকার নারীর সংখ্যা ৯ লাখ ৪০ হাজার। গত পাঁচ বছরে বেকারের এ সংখ্যা ৭০ হাজার কমেছে। এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৭ লাখ। এতে বেকারত্বের হার কমেছে ০.৬ শতাংশ।

বুধবার (২৯ মার্চ) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২-এ তথ্য উঠে এসেছে। আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে এ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করে বিবিএস।

বিবিসের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সাল পর্যন্ত শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে ৭ কোটি ৩৪ লাখ ১০ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ৪ কোটি ৭৪ লাখ, নারী ২ কোটি ৫৯ লাখ। গত পাঁচ বছরে ৯৯ লাখ ১০ হাজার শ্রমিক বেড়েছে। শ্রমশক্তির বাইরে মোট জনশক্তির পরিমাণ ৪ কোটি ৬৯ লাখ। ২০১৬ সালের তুলনায় এই সংখ্যা ১৪ লাখ বেড়েছে।

বর্তমানে দেশে বেকার জনগোষ্ঠীর হার কমে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে, যা আগে ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ।  এর মধ্যে পুরুষ ৩ দশমিক ৫৬ এবং নারী ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। দেশে এখন ৭ কোটি ৭ লাখ কর্মক্ষম ব্যক্তি রয়েছে। এর মধ্যে কৃষি খাতে সবচেয়ে বেশি ৩ কোটি ২২ লাখ। যা আগের তুলনায় কমেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। 

সর্বশেষ ২০১৭-১৬ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ। বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ২ শতাংশ। তাঁরা সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ পাননি, তাই তাঁদের বেকার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করে পুরো সপ্তাহ খাবার, যাতায়াত, থাকাসহ সব খরচ ধারণ করা সম্ভব নয়। তাই যাঁরা সপ্তাহে এক ঘণ্টাও কাজের সুযোগ পান না সরকারি পরিসংখ্যানে তাঁদের বেকার হিসাবে ধরা হয়।

আরও পড়ুন: কোচিং বাণিজ্য— কথাটি খারাপ নয়: শিক্ষামন্ত্রী

তবে বিবিএস আরেকটি হিসাব দেয়, সেটি হলো সপ্তাহে ৩৫ ঘণ্টার কম কাজ করেন, কিন্তু সেই কাজ নিয়ে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। সোজা কথায়, চাকরি বা কাজ খুঁজতে গিয়ে না পেয়ে জীবনধারণের জন্য টিউশনি, বিক্রয়কর্মী, উবার-পাঠাওয়ের মতো রাইড শেয়ারকর্মীর মতো কাজ করে থাকেন অনেকে। তাঁদের ছদ্মবেকার হিসেবে ধরা হয়। ২০১৬-১৭ সালের হিসাবে এমন বেকারের সংখ্যা প্রায় ৬৬ লাখ। পুরোপুরি বেকারের সঙ্গে ছদ্মবেকার যোগ করলে বেকারের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ১ কোটি।

অর্থনীতিবিদ ও গবেষকদের ধারণা, কোভিডের কারণে ছদ্মবেকারের সংখ্যা আরও বেড়েছে। তাঁদের একটি বড় অংশ উবার-পাঠাও চালান। আবার অনেকে বিক্রয়কর্মীর কাজে জড়িত।


সর্বশেষ সংবাদ