গোলাপবাগে বিএনপিকে ২৬ শর্ত ডিএমপির
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৫৭ PM , আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:১৭ PM
ঢাকা বিভাগে সমাবেশের জন্য সায়েদাবাদের গোলাপবাগ মাঠ ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) এই অনুমতি প্রদান করে। দলটির আবেদনের পর ডিএমপি সমাবেশের জন্য ২৬টি শর্ত দিয়ে সমাবেশের অনুমতি দেয়। ডিএমপি কমিশনারের স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. তানভীর সালেহীন ইমন স্বাক্ষরিত অনুমতিপত্রে এসব শর্ত জানানো হয়েছে।
সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পরপরই গোলাপবাগে মাঠে আসতে শুরু করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা
ডিএমপির দেয়া শর্তগুলো হচ্ছে:
১. অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে অনুমতিপ্রাপ্ত স্থান ব্যবহারের জন্য।
২. উল্লেখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করতে হবে স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে।
৩. সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে গোলাপবাগ মাঠের ভেতরেই।
৪. পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে ব্যবস্থাপনায়।
৫. নির্দেশনা অনুযায়ী স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলের ভেতরে ও বাইরে উন্নত রেজুলেশনযুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
৬. প্রতিটি প্রবেশ পথে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আর্চওয়ে স্থাপন করতে হবে এবং সমাবেশস্থলে আগতদের হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
৭. ভেহিক্যাল স্ক্যানারের মাধ্যমে নিজস্ব ব্যবস্থায় সমাবেশস্থলে আসা সব যানবাহন তল্লাশির ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. সমাবেশস্থলে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৯. গোলাপবাগ মাঠের বাইরে, সড়কের পাশে মাইক সাউন্ড বক্স ব্যবহার করা যাবে না।
১০. গোলাপবাগ মাঠের বাইরে, সড়কের পাশে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।
১১. গোলাপবাগ মাঠের বাইরে রাস্তায়, ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না।
১২. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক ব্যবহার করা যাবে না।
১৩. ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে এমন কোনও বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য দেওয়া বা প্রচার করা যাবে না।
১৪. সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে অনুমোদিত সময়ের মধ্যে।
১৫. লোকজন সমবেত হওয়ার জন্য আসতে পারবে সমাবেশ শুরুর দুই ঘণ্টা আগে।
১৬. সমাবেশস্থলের আশপাশসহ রাস্তায় কোনও অবস্থাতেই সমবেত হওয়া, যান ও জন চলাচলে কোনও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
১৭. পতাকা-ব্যানার-ফেস্টুন বহনের আড়ালে কোনও ধরনের লাঠিসোঁটা-রড ব্যবহার করা যাবে না।
১৮. এমন কার্যকলাপ করা যাবে না যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও জননিরাপত্তা বিকৃত হয়।
১৯. রাষ্ট্রবিরোধী কোনও কার্যকলাপ ও বক্তব্য দেওয়া যাবে না।
২০. উসকানিমূলক কোনও বক্তব্য বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।
২১. জনদুর্ভোগ তৈরি করে মিছিল সহকারে সমাবেশ স্থলে আসা যাবে না।
২২. গাড়ি পার্কিং করতে হবে পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থানে। মূল সড়কে কোনও গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।
২৩. আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে সমাবেশস্থলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে।
২৪. সমাবেশ পরিচালনা করতে হবে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে।
২৫. তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে উল্লেখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন না করলে।
২৬. কোনও কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।