সমালোচনার মুখে শিশুদের নাস্তা আবার চালুর সিদ্ধান্ত

সমালোচনার মুখে শিশুদের নাস্তা আবার চালুর সিদ্ধান্ত
সমালোচনার মুখে শিশুদের নাস্তা আবার চালুর সিদ্ধান্ত  © সংগৃহীত

ব্যয় কমানোর অজুহাতে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের শিশুদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া নাশতা পুনরায় ১ নভেম্বর থেকে চালু করতে যাচ্ছে সরকার। তবে আগের মত নয়, অর্ধেক বরাদ্দ অর্থাৎ জনপ্রতি ১৫ টাকা করে দিয়ে নাস্তা চালু করা হবে। এ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর তাদের ওয়েবসাইটে এক নোটিশ প্রকাশ করেছে।

এর আগে গত জুলাই মাসে সরকারের ব্যয় কমানোর কৌশলের অংশ হিসাবে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের শিশুদের জন্য বরাদ্দ বন্ধ করে দেয়।

ব্যয় কমানোর অজুহাতে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের ‘কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন' প্রকল্প থেকে শিশুদের নাশতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে এসব ক্লাবে শিশুদের আসা কমে গেছে। গান, আবৃত্তি, কারাতেসহ নানা সৃজনশীল বিষয় শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে দেশের সব জেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন করা হয়েছিল।

একই অবস্থা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের ‘উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের জন্য আয়বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষণ প্রকল্প' এবং জাতীয় মহিলা সংস্থার ‘তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্পের (২য় পর্যায়)'।

এই দুটি প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ ও উঠান বৈঠক গত জুলাই থেকে বন্ধ রয়েছে। এই দুটি সংস্থা মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন।

আরও পড়ুন: উচ্চ ঝুঁকিতে বিশ্বের ১০০ কোটি শিশু

তিনটি প্রকল্পই সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত হয়। নাশতা, প্রশিক্ষণ ও উঠান বৈঠক বন্ধ থাকলেও প্রকল্পের অন্যান্য কাজ, জনবলের ভাতা-সুবিধাদি চালু রয়েছে। এসব প্রকল্প থেকে বরাদ্দ কমিয়ে ব্যয় সাশ্রয়কে অর্থহীন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বিশেষ করে শিশুদের নাশতা বন্ধ করে দেওয়াকে অবিবেচক সিদ্ধান্ত বলছেন তাঁরা।

কিশোর–কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পের উপপরিচালক লিয়াকত আলী আজ প্রথম আলোকে জানান, ওয়েবসাইটে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাদের বরাবর চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। আজ থেকে নাশতার বরাদ্দ বাবদ টাকা পাঠানো শুরু হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে জনপ্রতি ১৫ টাকা বরাদ্দে নাশতা দেওয়া শুরু হবে।

আগে নাশতার জন্য ৩০ টাকা বরাদ্দ ছিল, সেটা কবে চালু হবে জানতে চাইলে লিয়াকত আলী বলেন, পূর্ণ বরাদ্দ চেয়ে অধিদপ্তর মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়েছে। মন্ত্রণালয় সেটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। খুব শিগগিরই পুরো বরাদ্দ পাওয়া যাবে। [সূত্র: ডয়চে ভেলে বাংলা]


সর্বশেষ সংবাদ