দেশে আবারও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা, বিজিবির সতর্কতা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০১:১২ PM , আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০১:৩৬ PM
২০১৭ সালের পর আবারও দেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা করছে বিজিবি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগোলি চলছে। এরই মধ্যে চলতি মাসে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসে আশ্রয় নিয়েছে একাধিক রোহিঙ্গা পরিবার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজিবি কর্মকর্তা জানান, মিয়ানমার তার পশ্চিমের বিভিন্ন অংশে যেভাবে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে, তা সেখানে থাকা মানুষগুলোকে রোহিঙ্গাদের মতো আশপাশের দেশগুলোতে পালাতে আবারও বাধ্য করবে।
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের ঘোষণা দিয়ে মিয়ানমারে থাকা রোহিঙ্গাদেরও উৎসাহিত করেছে মিয়ানমার ছেড়ে বের হয়ে আসতে। দেখা যাবে, রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষও এ সুযোগ নেওয়ার জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করবে।
আরও পড়ুন: মোবাইল বিস্ফোরণে ৮ মাসের শিশুর মৃত্যু।
বিজিবির ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৪৭৮ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠায় বিজিবি। তাদের মধ্যে ১৩১ জন নারী, ৮১ শিশু ও ২৬৬ জন পুরুষ। আর চার রোহিঙ্গাকে থানায় দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এবার যেখানে এসব ঘটনা ঘটছে, সেখানে কোনো রোহিঙ্গা এখন আর থাকেন না। সে কারণে রোহিঙ্গা ঢলের আশঙ্কা খুব একটা নেই।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোহাম্মদ নিকারুজ্জামান চৌধুরী ও টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, রাতে হঠাৎ করে দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টার খবর পাওয়া যায়। তবে সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তারা আশা করছেন, কেউ অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকতে পারবে না।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতন করলে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঢল নামে। তখন সীমান্ত অতিক্রম করে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়। আগে আসা রোহিঙ্গাসহ ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গারা বর্তমানে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়ে আছেন।