স্বপ্রকাশিত লেখকদের জন্য বইমেলায় আলাদা প্যাভিলিয়ন হোক

আরিফ জেবতিক ও বইমলোর ছবি
আরিফ জেবতিক ও বইমলোর ছবি  © সংগৃহীত

বইমেলায় স্বপ্রকাশিত বইগুলোর লেখকদের বিপণনের কোনো ব্যবস্থা নেই। অথচ এটা ওপেন সিক্রেট যে একশ্রেণির 'প্রকাশক' নিজেরা কোন বিনিয়োগ করেন না, লেখকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাঁদের বই প্রকাশ করেন। 

সেটাতে কোন অসুবিধা দেখি না, কিন্তু মুশকিল হলো এই যে লেখকরা নিজেদের বিনিয়োগে বই প্রকাশ করেন, তাঁরা স্টলে বসে সেই বই তাঁদের আত্মীয় স্বজনের কাছে বিক্রিও করেন, কিন্তু তাঁরা কখনোই কত কপি ছাপা হলো, কত কপি বিক্রি হলো-এর কিছুই জানতে পারেন না। এই অব্যবস্থাপনা বছরের পর বছর চলছে।

এর বাইরে টিপু সুলতানের মতো যেসব লেখক নিজের বই ফেরি করে বিক্রি করতে চান, তাঁদেরও কোন স্থান নেই বইমেলায়।আমি দাবি করি, বাংলা একাডেমি স্বপ্রকাশিত লেখকদের জন্য একটি প্যাভিলিয়ন করুক। সেখানে লেখকরা নিজেরা বই ছাপিয়ে নিজেরা বিক্রি করতে পারবে। 

সামনে টানা টেবিল থাকবে, প্রত্যেক লেখককে একটি করে চেয়ার দেওয়া হবে। সেখানে বসে তিনি তাঁর বই বিক্রি করবেন। প্রতিটি চেয়ারের জন্য একটি টোকেন মানি ভাড়া হিসেবে নেয়া হবে। এছাড়া যারা নতুন করে প্রকাশনা ব্যবসায় আসতে চান, কিন্তু বইয়ের সংখ্যা মাত্র হাতে গোনা, তাঁরাও এই প্যাভিলিয়নে ছোট টেবিল নিয়ে স্বল্পপূঁজিতে বিক্রিবাট্টা করতে পারবেন।

সম্ভবত ২০০০ সালে প্রথমবার বাংলা একাডেমি ছোট পরিসরে লিটিলম্যাগ চত্বর করেছিল। সেখানে সবাই আড্ডা মেরেমেরে লিটিলম্যাগ বেচতাম। বিষয়টা আনন্দের ছিল। লিটিলম্যাগ চত্বর এখনও আছে, বরং ইদানীং পরিসরেও বেড়েছে।

এখন যদি স্বপ্রকাশিত বইগুলোর জন্য এরকম একটা প্যাভিলিয়ন করে দেয়া যায়, সেটিও স্বতন্ত্র লেখকদের উপকারে আসবে। তাঁরা নিজের পয়সায় বই প্রকাশ করে, নিজেরা বিক্রি করবেন। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য আর হয়রানি থেকে তাঁরা নিস্তার পেতে পারেন।

লেখক: ব্লগার ও অ্যাকটিভিস্ট


সর্বশেষ সংবাদ