‘মাদ্রাসার প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তি হয়ে থাকে’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:২৬ PM , আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১০:০৬ PM

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক ও আরবী বিভাগের চেয়ারম্যান ড. যুবাইর মুহাম্মদ এহসানুল হক বলেছেন, মাদ্রাসায় দশম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাসে শিক্ষার্থী উপস্থিতি মোটামুটি সন্তোষজন। আর আলিম শ্রেণি থেকে ক্লাসে শিক্ষার্থী উপস্থিতি হ্রাস পেতে থাকে। তবে ফাজিল ও কামিলে সর্বোচ্চ শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার মাত্র ২৫ শতাংশ হতে পারে বলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষগণ জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, উচ্চশিক্ষায় প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী মাদ্রাসার পাশাপাশি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তি হয়ে থাকে।
আজ বুধবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষার অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারের দ্বিতীয় সেশনে মাদ্রাসা শিক্ষার সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এক প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
ড. যুবাইর মুহাম্মদ প্রবন্ধে বলেন, ইবতেদায়ী, দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মোট ৫টি স্তর রয়েছে। ক্লাস সাইজের ব্যাপারে মাদ্রাসাগুলোর অভিজ্ঞতা বৈচিত্রময়, কোথাও শিক্ষার্থী সংকট, কোথাও শিক্ষার্থীর আধিক্য। ফাজিল ও কামিল শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণ হলো-ভর্তি জটিলতায় বিলম্ব হওয়ায় শিক্ষার্থীরা অন্যত্র সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে। সেশনজট ও দীর্ঘসূত্রিতা আমাদের সময়ে চার বছরে মধ্যে ফাজিল ও কামিল পাশ করে শিক্ষার্থীরা বের হয়ে যেতো।
আরো পড়ুন: দেশে ৪ লাখ ইবতেদায়ী মাদ্রাসা হলো না কেন: সলিমুল্লাহ খান
প্রবন্ধে তিনি আরো বলেন, এখন ফাজিল পাশ করতেই চার বছরের বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়। কিছু শিক্ষার্থী উপার্জনের তাগিদে ইমাম, মু’আজ্জিন, কম্পিউটার অপারেটরসহ নানা পেশায় যুক্ত হয়ে ক্লাসে আসেন না এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। উপজেলা শহর বা গ্রামের মাদ্রাসাগুলোতে মেয়ে শিক্ষার্থী বেশি। কারণ ফাজিল ও কামিল পর্যায়ে ছেলেদের অনেকে শহরে চলে আসে। অনেক মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়, তারা ক্লাসে উপস্থিত হয় না এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন না। এ ছাড়াও দ্বৈত ভর্তি মোটামুটি শতভাগ শিক্ষার্থী মাদ্রাসার পাশাপাশি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে যায়।
সেমিনারের দ্বিতীয় সেশনে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।