ব্যবসায় অনুষদেও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে চায় ইউসিএসআই
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:১০ PM , আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৬ PM

কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান থাকবে, ব্যবসায় শিক্ষার চাহিদা ততদিন থাকবে। ‘ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন’-এর কম্পিউটার সায়েন্স তথা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু ’সর্বজনের ডিগ্রি বিবিএ-এমবিএ’— তত্ত্ব থেকে আজও বের হতে পারেনি গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশেও এই বিষয় পড়ে ক্যারিয়ার গড়া কিংবা উদ্যোক্তা হওয়ার ট্রেন্ড গত তিন দশক আগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শুরু করেছিল; সেটা ধারা আজও অব্যাহত রয়েছে শিক্ষাঙ্গণ ও শিক্ষাসংশ্লিষ্ট মহলে। হয়তো এসব কারণেই নিজকে কিংবা নিজের প্রতিষ্ঠানকে সুচারুরূপে পরিচালনা করতে হলেও অন্তত একটা এমবিএ ডিগ্রি নেওয়ার প্রবণতা আজও আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত।
মূলত এসব বিষয়কে আমলে নিয়েই বাংলাদেশের ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (এফবিএম) তথা ব্যবসায় ও ব্যবস্থাপনা অনুষদে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে চায় মালয়েশিয়ার প্রথম বেসরকারি উচ্চশিক্ষালয় ইউনিভার্সিটি কলেজ সেদায়া ইন্টারন্যাশনাল (ইউসিএসআই) বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ। রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানীতে অবস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুষদ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উচ্চমাধ্যমিকের পর যারা ব্যবসায় শিক্ষা নিয়ে পড়তে চান, দেশের ভেতরে বিদেশের উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে চান, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি তাদের জন্য ’বেস্ট অপশন’ হতে পারে। কারণ হিসেবে তারা জানান, ইতোমধ্যেই বিশ্বের শীর্ষ ২৫০টি বিজনেস স্কুলের মধ্যে স্থান পেয়েছে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির এই অনুষদ।
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এজন্য আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এরমধ্যে ব্যতিক্রমী অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রাম, সাশ্রয়ী টিউশন ফি এবং কর্মভিত্তিক জ্ঞানের ওপর গুরুত্ব প্রদান তো রয়েছেই, পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য উদ্ভাবনী ও দক্ষতামুখী শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
আবার এখানে যে প্রোগ্রামগুলো অফার করা হচ্ছে; তা মালয়েশিয়ার মতোই। অর্থাৎ কেউ যদি ৪ বছরের অনার্স কোর্সের প্রথম দু’বছর বাংলাদেশে এবং পরবর্তী দু’বছর মালয়েশিয়ায় করতে চান; তারা তা সম্পন্ন করতে পারবেন। এটা নিঃসন্দেহে ইউসিএসআই শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের চেয়ে এগিয়ে রাখবে।
ডিনস অ্যাওয়ার্ড পাওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকরা
তারা এ-ও জানান, বিশ্বখ্যাত ইউসিএসআইয়ের অন্যতম সেরা অনুষদ ফ্যাকাল্টি অফ বিজনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট; যার খ্যাতি সারা বিশ্বেই রয়েছে। শতাধিক দেশ থেকে পড়তে আসা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য গ্র্যাজুয়েট গোটা বিশ্বে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন, প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন দেশে কিংবা বিদেশে।
এছাড়াও ইউসিএসআইয়ের বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ফ্যাকাল্টির কারিকুলাম আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে মানসম্মত এবং গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রি ট্রেন্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি যেমন বহুমুখী অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়ক হবে, তেমনি তা শিক্ষার্থীদেরকে তাত্ত্বিক জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রেও একধাপ এগিয়ে নেবে।
বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় তদারক সংস্থা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) অনুমোদিত ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বর্তমানে এশিয়ার ২৫ দেশের শীর্ষ ৯৮৪ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৫তম অবস্থানে রয়েছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের সেরা ১ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেও ধরে রেখেছে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের ছাপ। পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ৯ম। ফলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের ইউনিভার্সিটিতে পড়ার পরিবেশ পাচ্ছেন।
ড. বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া
জানতে চাইলে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করা। ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি কেবলমাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এটি একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন। যেসব শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিকমানের ডিগ্রি অর্জন করতে চান কিন্তু বিদেশে যেতে পারছেন না, তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। এখন আর উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে হবে না, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশেই সেই সুযোগ এনে দিয়েছে।’
অনুষদের প্রোগ্রামসমূহ ও বৈচিত্র্যময় কোর্স
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি ব্যবসায় ও ব্যবস্থাপনা অনুষদের প্রোগ্রামসমূহ হলো— ফাইনান্সিয়াল ইকোনোমিকস, একাউন্টিং অ্যান্ড ফাইনান্স, মার্কেটিং, লজিস্টিকস ম্যানেজমেন্ট, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ব্রান্ডিং অ্যান্ড এডভার্টাইজিং, সাপ্লাই চেইন অপারেশন ম্যানেজমেন্ট।
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বর্তমানে এশিয়ার ২৫ দেশের শীর্ষ ৯৮৪ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৫তম অবস্থানে রয়েছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের সেরা ১ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেও ধরে রেখেছে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের ছাপ। পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ৯ম। ফলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের ইউনিভার্সিটিতে পড়ার পরিবেশ পাচ্ছেন।
বলা হয়ে থাকে, বৈচিত্র্যময় কোর্সের সমাহার থাকে ব্যবসায় অনুষদে; যেসব কোর্স শিক্ষার্থীদের গ্রাজুয়েশন চলাকালীন সময়েই প্রফেশনালিজম শেখায়। ফলে শিক্ষাজীবন থেকেই তাদের মধ্যে এক ধরনের পেশাদারিত্বের লক্ষণ দেখা যায়। চাকরিদাতারাও যে ধরনের স্মার্ট ও আত্মবিশ্বাসী কর্মী খুঁজেন, তার প্রত্যেকটি বিষয়ই পাওয়া যায় বিবিএ ও এমবিএ সম্পন্নকারী এসব গ্রাজুয়েটদের মধ্যে। মূলত এসব বিষয়কে মাথায় রেখেই ইউসিএসআইয়ের চার বছরের প্রোগ্রামে অসংখ্য অ্যাসাইনমেন্ট, ফিল্ড ওয়ার্ক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুর, প্রেজেন্টেশনে অংশ নিতে হয়। ফলে সহজেই এখানকার শিক্ষার্থীরা নিজেদের চাকরির জন্য প্রস্তত করে ফেলতে পারেন।
ড. গোলাম আহমেদ ফারুকী
অনুষদ ডিন অধ্যাপক ড. গোলাম আহমেদ ফারুকীর ভাষ্য, ‘বিশ্বের শীর্ষ ২৫০টি বিজনেস স্কুলের মধ্যে স্থান পাওয়া ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি এখন বাংলাদেশে; এটি আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এক বিশাল অর্জন। আমরা এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করেছি যেখানে শিক্ষার্থীরা বাস্তবমুখী জ্ঞান অর্জন করতে পারে, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হতে পারে এবং আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রবেশের সুযোগ পাবে । সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, এটি সাশ্রয়ী এবং আমাদের অর্থনীতির জন্যও উপকারী।’
একগুচ্ছ সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধার সমাহার ক্যাম্পাসে
ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি রাজধানী ঢাকার বনানী এলাকায় ১৫ তলা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত; যা ৫০ হাজার বর্গফুটের বেশি জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। ক্যাম্পাসে রয়েছে গ্লোবার স্মার্ট ক্লাসরুম, ইন্টারঅ্যাকটিভ লার্নিং সুবিধা, প্রযুক্তিগত গবেষণার আধুনিক ল্যাব, বিষয়ভিত্তিক বিবিধ বইয়ের সমাহারে সমৃদ্ধ লাইব্রেরি এবং মালয়েশিয়ার মূল ক্যাম্পাসের সঙ্গে যুক্ত অনলাইন লাইব্রেরি সুবিধা।
লাইব্রেরিতে পড়াশোনার সুন্দর পরিবেশ
ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য রয়েছে স্পোর্টস জোন; যেখানে তারা বিভিন্ন খেলাধুলার সুযোগ পেয়ে থাকেন। সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও ইভেন্ট আয়োজনের জন্য রয়েছে সুসজ্জিত হলরুম। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য বিশেষ টিচার্স ও স্টুডেন্ট লাউঞ্জ এবং শিক্ষার্থীদের দেশি-বিদেশি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করানো এবং তাদের নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশে সহায়তা করতে কারিকুলামের অন্তর্ভুক্ত মাল্টি-কালচারাল ক্লাব অ্যাকটিভিটিজও এই প্রতিষ্ঠানের সমাদৃত কাজ।
ইউরোপ-আমেরিকায় ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ
মালয়েশিয়ায় অবস্থিত মূল ক্যাম্পাস তো বটেই; পাশাপাশি রয়েছে বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা। বিশ্বের শীর্ষ ১ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়সহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া এবং এশিয়ার নামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগও অবাধে পেয়ে থাকেন আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত এ উচ্চশিক্ষালয়টির ছাত্র-ছাত্রীরা। এছাড়াও মেধা ও ফলাফলের ভিত্তিতে স্কলারশিপেও সুবিধাও রয়েছে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে।
অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল আকর্ষণ হলো সেখানকার শিক্ষকমণ্ডলী। শিক্ষকদের গুণগত মান থাকলে সেখানকার শিক্ষার্থীরাও অনেক ভালো করবে। এটাকে গুরুত্ব দিয়েই ইউসিএসআই ক্যাম্পাসে রয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী। অধিকাংশ শিক্ষক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেশি-বিদেশি অভিজ্ঞ শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইউসিএসআই। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-ছাত্রের অনুপাতও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে।
‘‘আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করা। ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি কেবলমাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এটি একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন। যেসব শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিকমানের ডিগ্রি অর্জন করতে চান কিন্তু বিদেশে যেতে পারছেন না, তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। এখন আর উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে হবে না, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশেই সেই সুযোগ এনে দিয়েছে— ড. বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া
বাঁচবে ডলার, বাঁচবে দেশ
বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে গেলে টিউশন ফি, থাকা-খাওয়া ও যাতায়াতে বিশাল খরচ হয়, যা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ইউসিএসআই বাংলাদেশেই প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রি দিচ্ছে, তাও বিদেশের তুলনায় প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয়ে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি দেশের একাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায়ও কম। ডলারের অস্থির বিনিময় হার ও ক্রমবর্ধমান টিউশন ফি অনেকের স্বপ্নপূরণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউসিএসআই শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বমানের শিক্ষা সহজলভ্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেন তারা দেশে থেকেই উন্নত শিক্ষার সুযোগ পায়।
শতভাগ স্কলারশিপের সুযোগ
ইউসিএসআই বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ স্কলারশিপের সুবিধা রয়েছে। ব্যাচেলর প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি, এইচএসসি এবং ‘ও’ লেভেল ও ‘এ’ লেভেল ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। মাস্টার্স প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রির ফলাফল ও প্লেসমেন্ট টেস্টের পারফরম্যান্স বিবেচনায় স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে ৫ কোটি টাকার বেশি স্কলারশিপ ও বিশেষ শিক্ষা সহায়তা প্রদান করেছে। চলতি শিক্ষাবর্ষেও থাকছে পর্যাপ্ত স্কলারশিপের সুযোগ। এছাড়াও, একই পরিবারের একাধিক সদস্য, গরীব কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্যও বিশেষ শিক্ষা সহায়তার সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শনকারীদের জন্য রয়েছে বিশেষ শিক্ষা সহায়তার ব্যবস্থা।
কর্মসংস্থানের বিপুল সম্ভাবনা ও উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ
ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক ডিগ্রি অর্জনের পর দেশি-বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানিগুলোতে চাকরির সুযোগ পাবে। বাংলাদেশে মালয়েশিয়ান মালিকানাধীন ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে তারা অগ্রাধিকার পাবে। এছাড়াও, আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতেও ক্যারিয়ার গড়ার অসাধারণ সুযোগ থাকবে।
ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি শুধু চাকরির সুযোগই তৈরি করবে না, শিক্ষার্থীদের ব্যবসায়িক নেতৃত্ব গঠন ও উদ্যোক্তা হওয়ার পথ সুগম করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে ব্যবসা পরিচালনা, স্টার্ট-আপ ম্যানেজমেন্ট ও ইনোভেশন বিষয়ক শিক্ষা দেওয়া হয়, যা শিক্ষার্থীদের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে ও সফল উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনকিউবেশন সেন্টার, ইন্ডাস্ট্রি কানেকশন ও মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম শিক্ষার্থীদের তাদের স্টার্ট-আপ শুরু করতে অনুপ্রাণিত করবে।
ক্যাম্পাসের ইনডোর গেমসের ব্যবস্থা
প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের প্রতিশ্রুতি, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এজন্য আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এরমধ্যে ব্যতিক্রমী অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রাম, সাশ্রয়ী টিউশন ফি এবং কর্মভিত্তিক জ্ঞানের ওপর গুরুত্ব প্রদান তো রয়েছেই, পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য উদ্ভাবনী ও দক্ষতামুখী শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়াও বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ার গড়তে উন্নত মানবসম্পদ তৈরিতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে ইউসিএসআই। সামগ্রিকভাবে শিক্ষার্থীদের একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম করে তুলতে বর্তমানে এবং ভবিষ্যতেও নিরলসভাবে কাজ করে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি— এমনটাই প্রতিশ্রুতি প্রতিষ্ঠান শীর্ষদের।