শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৯৮ শতাংশ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৫:২১ PM , আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৫:৩৮ PM
করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ২৮৮ জনে। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ হাজার ৮০৭ জনের। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩১ জনে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল বুধবার জানানো হয়, আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়; শনাক্ত হন ১৫ হাজার ৫২৭ জন; শনাক্তের হার ছিল ৩১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থীকে নির্যাতনকারী ৬ জনই ছাত্রলীগের কর্মী
বৃহস্পতিবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১০৩৭ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৬১ হাজার ৪৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৪৯ হাজার ৫৭৯টি। পরীক্ষা করা হয় ৪৯ হাজার ৪২৫টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৯ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ১০ জন নারী। ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৮ জন। চট্টগ্রামে ৩ জন মারা গেছেন। এছাড়া রাজশাহীতে ২, বরিশাল ও রংপুরে একজন করে মারা গেছেন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কানাডায় স্কুলে ফের শত কবরের সন্ধান
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে। ২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রন ঝড়। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৬ জানুয়ারি তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর থেকে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে।