নিপুনের স্ট্যাটাস: পাল্টা কমেন্টে কঠোর হওয়ার ‘তিক্ত অভিজ্ঞতা’ লিখলেন আসিফ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১১:৩০ AM , আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৫, ১২:২১ PM
রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় খুন হন ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগ (৩৯)। পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয় তীব্র প্রতিক্রিয়া। শোক ও ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শোবিজ অঙ্গনও।
এ ঘটনায় ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সে পোস্টটি নিজ টাইমলাইনে শেয়ার করে নাট্যনির্মাতা আশফাক নিপুণ লেখেন, ‘আপনার মতো তরুণদের দিকে আমার মতো পুরো দেশ তাকিয়ে আছে। এসব চাঁদাবাজি, দখলবাজি, জের ধরে খুনোখুনি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় আপনার সরকারের ওপরেও বর্তায়। দায় না নিয়ে হাসান মাহমুদের মতো দায় চাপানোর চটকদার রাজনীতি আমরা নতুন কোনো সরকারের ভেতর আর দেখতে চাই না।’
আশফাক নিপুণের শেয়ার করা স্ট্যাটাসের কমেন্টে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ লেখেন, কঠোর হস্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি নিপুন ভাই। মুরাদনগরে হাতেনাতে ধরা পরা চাঁদাবাজকে ছাড়াতে থানায় হামলা করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। ৩ ঘন্টার হামলায় ভাংচুর, পুলিশসহ সিভিলিয়ান আহত হয়। কুমিল্লা থেকে এডিশনাল ফোর্স আর যৌথ বাহিনী এসে থানা রক্ষা করে। পুলিশবাদী মামলা হয়। স্থানীয় পুলিশকে কঠোর হতে নির্দেশ দেই। সে ঘটনায় ৭ জন গ্রেফতার হয় (যদিও মাসখানেকের মধ্যেই জামিন হয়ে যায়)।’
তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘তো এই কঠোর হওয়ার অপরাধে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে দলটির একজন উচ্চপর্যায়ের নেতা আমার নামে অভিযোগ করে যে, আমার যন্ত্রণায় নাকি মুরাদনগরের বিএনপির লেকেরা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। আরও মুশকিল হলো আমাদের এই সরকারের সবাই তো বিপ্লবী না, কঠোর হওয়াটাও মাঝেমধ্যে একরকম অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।
আবার জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার গুরুদায়িত্বও একমাত্র সরকারেরই যেন। মিডিয়ায় এসে বলবে ইন্টেরিম ব্যবস্থা নেয় না কেন? আর অভ্যন্তরীণ বৈঠকে সন্ত্রাসীদের ইমিউনিটি দিবে। সন্ত্রাসীরা উচ্চপর্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আইনশৃঙ্খলা ভালো হবে কিভাবে? আর এই প্রশাসনযন্ত্রের ৫-১০% লোক ছাড়া বাকিসব চরিত্রগত ভাবে ক্ষমতার গোলাম। এই সরকার আর ক'দিন।’