ভবিষ্যতে জিএসটি আরও শক্তিশালী হবে: যবিপ্রবি উপাচার্য
- যবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২২, ০৫:৫৩ PM , আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২২, ০৫:৫৩ PM
গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে জিএসটি আরও শক্তিশালী হবে। আশা করি, দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় একযোগে এ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেবেন। তাহলে দুর্ভোগ ছাড়াই শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবে, তাদের কষ্ট অনেক লাঘব হবে।’
শনিবার (১৩ আগস্ট) গুচ্ছ পদ্ধতিতে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে যবিপ্রবি কেন্দ্রে জিএসটির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে, কারোর কোথাও অসুবিধার কথা শুনিনি। এমনকি যারা সিকবেডে পরীক্ষা দিয়েছে, তাঁদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য তিনি যবিপ্রবির সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
একইসঙ্গে যবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে যশোরের জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, যবিপ্রবি ছাত্রলীগ, সাংবাদিক সমিতি, সহায়ক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে গুচ্ছ পদ্ধতিতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি দ্বিতীয়বারের মতো যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও (যবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘বি’ ইউনিটে যবিপ্রবিতে আসন পড়ে ৪ হাজার ১১৫ জন শিক্ষার্থীর। এরমধ্যে যবিপ্রবিতে ৯৫ দশমিক ১৩ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছেন বলে পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন : ‘ঢাবি ছাত্রের টাকা দরকার তাই আমার পরীক্ষা দিছে, আপনার সমস্যা কী?’
যবিপ্রবির জিএসটিভুক্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক কমিটি থেকে জানানো হয়, যবিপ্রবির তিনটি ভবন ও যবিপ্রবি স্কুল অ্যান্ড কলেজে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ডিজিটাল ব্যানারে রোল নম্বর, কেন্দ্র এবং ভবন নির্দেশক দেওয়া হয়। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের সহায়তা দেওয়ার জন্য সকল ভবনের প্রবেশমুখে নিরাপত্তা উপ-কমিটির সদস্যবৃন্দ, বিএনসিসিসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকগণ দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিটি কেন্দ্রে অবৈধ ডিভাইস শনাক্তে শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে গঠিত ১০ সদস্যের স্ট্রাইকিং ফোর্সও দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া যবিপ্রবি ছাত্রলীগ, সাংবাদিক সমিতি, সহায়ক, বিভিন্ন জেলা সংগঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও ক্লাব ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়তা করে।
এর আগে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য যবিপ্রবিতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। ভর্তি পরীক্ষার সময় যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ও পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত ছিলেন।
পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সাথে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, ভর্তি পরীক্ষার কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সাইবুর রহমান মোল্লা, ‘বি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বরত ব্যক্তিবর্গ।