‘হলে শিবির থাকতে পারবে না’ বলে জুনিয়রকে বের করে দিল ছাত্রলীগ

শাবিপ্রবির শাহপরান হল
শাবিপ্রবির শাহপরান হল  © ফাইল ফটো

‘হলে কোনো শিবির থাকতে পারবে না’ বলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শাহপরান হলে ছাত্রলীগের এক জুনিয়র কর্মীকে বের করে দিয়েছেন সিনিয়ররা। ভুক্তভোগী শাখা ছাত্রলীগের আশরাফ কামাল আরিফের সঙ্গে রাজনীতি করতেন বলে জানা গেছে। আরিফের সাবগ্রুপের সদস্যরাই ‘উপরের নির্দেশ আছে’ বলে তাকে হল থেকে বের করে দেন।

ভুক্তভোগী ওই কর্মীর নাম আব্দুল বাছির জুয়েল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। তাকে হল থেকে বের করে দেয়ার পর এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। আজ শনিবার (১২ মার্চ) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, আশরাফ কামাল আরিফের গ্রুপে আধিপত্য বিস্তার ও বর্তমানে কমিটি শূন্য শাখা ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বে পদ পাওয়ার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তার অনুসারীদের মাঝে অন্তর্কোন্দল চলছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুয়েলকে হল থেকে বের করে দেয়ার সময় লোকপ্রশাসন বিভাগের সুমন মিয়া, কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ইফতেখার আহমদ রানা, ইংরেজি বিভাগের মুজাহিদুল ইসলাম রিশাদসহ নৃবিজ্ঞান বিভাগের শফিউল ইসলাম রাব্বি, লোকপ্রশাসন বিভাগের আবু বকর ঘটনাস্থলে সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় ইফতেখার আহমদ রানাকে ‘ওরে বাইর কর, হলে কোন শিবির থাকতে পারবে না’ বলতে শোনা গেছে।

আরও পড়ুন: পাস করতে না পারার হাতাশায় শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জুয়েল বলেন, সিনিয়রদের সাথে কি ঝামেলা হয়েছে আমি সেটা জানি না। তবে আজকে বিকেলে ইফতেখার আহমদ রানা, সুমন, রিশাদ, মোশারফ, বক্কর, রাব্বিসহ ৩০-৩৫ জন আমাকে এসে ৫ মিনিটের মধ্যে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলে।

এসময় আমি ‘কেন বের হয়ে যাবো’ জানতে চাইলে ইফতেখার আহমদ রানা বলেন, উপরের নির্দেশ রয়েছে। আরিফ ভাই নির্দেশ দিয়েছেন বের হয়ে যেতে। এরপরে কি হয়েছে আপনারাই দেখেছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গ্রুপ লিডার আশরাফ কামাল আরিফ তাকে হল থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কাউকে কিছু না বলার নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে আশরাফ কামাল আরিফ বলেন, জুনিয়ররা জুয়েলকে এক রুম থেকে অন্য রুমে দিতে চেয়েছিল। তার সিটে আরেকজন সিনিয়রকে উঠাতে চেয়েছিল। তারপর দুজনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। তবে সিনিয়ররা এখন সে সমস্যা সমাধান করে দিয়েছে। তারা দুজনেই এখন তাদের নিজ নিজ রুমে অবস্থান করছে।

এ ঘটনায় শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খানের সাথে যোগাযোগ করেও তাঁর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন বলে জানান।


সর্বশেষ সংবাদ