সন্ধ্যার পর ফোন দেওয়া যাবে না বশেমুরবিপ্রবি প্রক্টরকে
- বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১০:১৪ PM , আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১০:১৬ PM
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমানকে সন্ধ্যার পর ফোন দেওয়া যাবে না বলে সাংবাদিককে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। দেশ রুপান্তরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি শাফিউল কায়েসকে তিনি এ নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী অপহরণের পর মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় প্রক্টরকে ফোন দিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘ দিন সাংবাদিকতা করে এসেছি। তুমি কি রাত ১১ টায় আমাকে কল দিতে পারো? তুমি আর কখনো সন্ধ্যার পর কল দিবে না।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস বন্ধের আভাস
শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনাটিকে প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান ‘সেরকম ঘটনা নয়’ বলেও মন্তব্য করেন।
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শেখ শাকিল নামের এক শিক্ষার্থীকে টিউশনি প্রদানের আশ্বাস দিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার মল্লিকের মাঠ নামক এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়।
পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থীকে মারধর সহ বিভিন্ন রকমের মানসিক প্রেসার দিয়ে বাড়ি যোগাযোগ করতে বাধ্য করা হয়। এমনকি অপহরণকারীরা তার মা বাবা কে বলেন, তোর একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে হলে ৩০,০০০ টাকা দিতে হবে। অন্যথায় তাকে হত্যা করা হবে।
এসময় শিক্ষার্থীর পারিবারিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তার খালাতো ভাই বিকাশের মাধ্যমে দুই ধাপে টাকা পাঠালে তাকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে এক অটোযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে পৌঁছালে শিক্ষার্থীদের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মামলা প্রত্যাহারে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
এদিকে, আহত অবস্থায় শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বুলেন্স ড্রাইভারকে কে ফোন দিলে তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বুলেন্সও। এম্বুলেন্সের ড্রাইভারকে ফোন দেয়া হলে তিনি জানান, তিনি শহরে অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আহসান ইমন বলেন, এম্বুলেন্স সময় মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পায়না এটি নতুন কিছু নয়। ইতিপূর্বে ওই বিভাগের এক শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলেও এম্বুলেন্স সময় মতো পায়নি । শুধু এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেই নয় যেকোনো বিভাগের শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হলেও এম্বুলেন্স পায়না বলে অভিযোগ আছে।’