একদফা দাবিতে আমরণ অনশন চলছে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শিক্ষার্থীদের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৫, ০৭:২৫ PM , আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১১:৩৪ AM
ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, বরিশাল ও সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্বতন্ত্র কমিশন গঠন ও সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন। এদিকে চলমান কর্মসূচিতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ইতোমধ্যেে এক শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আন্দোলনকারীদের দাবি, দীর্ঘদিনের যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস না পাওয়ায় তারা চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন।
৩১ জুলাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নয় দিনের আল্টিমেটাম দিয়েও লিখিত সমাধান না পাওয়ায় সোমবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তারা আমরণ অনশন শুরু করেন। এদিকে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন চলছে। দাবি মানা না পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান তারা।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা জানান, গত ২০ মে থেকে চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনসহ একাডেমিক শাটডাউন কর্মসূচি চালিয়ে আসছে। দুই মাসেরও বেশি সময় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পর ২৭ জুলাই তারা ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান শুরু করেন।
আন্দোলন সফল করতে বিএনপি, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি, ইসলামী আন্দোলন, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ প্রায় ২০টি রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, প্রকৌশল শিক্ষা দেশের শিল্প, প্রযুক্তি ও অর্থনীতির মেরুদণ্ড। ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন না হলে এই খাতের ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের চারটি বিশেষায়িত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ— ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, বরিশাল ও সিলেট; দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক ও একাডেমিক জটিলতায় ভুগছে। এর মধ্যে বরিশাল, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের দ্বৈত কাঠামোতে পরিচালিত এবং সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের অধীনে পরিচালিত।
তারা জানান, ২০ মে থেকে বরিশাল, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চালাচ্ছে এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (বিআইটি) আদলে একটি স্বতন্ত্র কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে। পরে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরাও এতে যুক্ত হয়।