৬০ বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে হাবিপ্রবিতে ‘সামার সিম্পোজিয়াম-২০২৫’ শুরু

হাবিপ্রবিতে দুই দিনব্যাপী আইইই কম্পিউটার সোসাইটি সামার সিম্পোজিয়াম-২০২৫ শুরু হয়েছে
হাবিপ্রবিতে দুই দিনব্যাপী আইইই কম্পিউটার সোসাইটি সামার সিম্পোজিয়াম-২০২৫ শুরু হয়েছে  © টিডিসি

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী আইইই কম্পিউটার সোসাইটি সামার সিম্পোজিয়াম-২০২৫ শুরু হয়েছে। দেশের সম্ভাবনাময় আইটি খাতকে ঘিরে এমন বড় পরিসরে আলোচনা ও অংশগ্রহণের সুযোগ হাবিপ্রবিতে এবারই প্রথম।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) ও শনিবার (১৯ জুলাই) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং ড. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা ভবনে আয়োজিত এ আয়োজনের অংশ নেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

হাবিপ্রবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ এবং আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সমন্বয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার, বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো শামসুল আরেফিন এবং আইইইই সিএস বিডিসির সভাপতি অধ্যাপক ড. কে এম আজহারুল হাসান। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএসই অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন। টাইটেল স্পন্সর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র‍্যাকনেট।

সম্মেলনের আলোচনায় উঠে আসে দেশি মেধাবীদের দক্ষ করে তুলতে হলে কারিকুলাম হালনাগাদ, ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া সংযোগ এবং বিদেশি বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা বলেন, ‘আমি হাবিপ্রবিতে যোগদানের পর ডিন মহোদয়দের সঙ্গে অনুষ্ঠিত প্রথম মিটিং থেকেই অনুষদগুলোকে এ ধরনের সিম্পোজিয়াম ও আন্তজার্তিক কনফারেন্স আয়োজনের কথা বলে আসছি। ২০২৫ সালে প্রতিটি অনুষদকে অন্তত একটা করে কনফারেন্সের আয়োজন করতে বলেছি। আশা করি, সবাই এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন। এর মাধ্যমে হাবিপ্রবিকে দেশ ও বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে হবে।’

এ আয়োজনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি যেদিন প্রথম এই সিম্পোজিয়ামের বিষয়ে ভিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলি। স্যার শোনা মাত্রই রাজি হয়ে যান এবং বলেন এ জন্য তার পক্ষে যা যা করা সম্ভব তিনি করবেন। তার দিকনির্দেশনাতেই এ ধরনের বড় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারছি, আমরা স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ । বিশ্বব্যাপী চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সক্ষমতা গড়ে তুলতে হলে তথ্য প্রযুক্তি খাতকে গুরুত্ব দিতে হবে, আর সে লক্ষ্যেই এই আয়োজন। 

সিম্পোজিয়ামের অন্যতম বড় আকর্ষণ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ। তারা প্রযুক্তি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন এবং হাতে-কলমে প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা নেন। 

সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন,‘ হাবিপ্রবিতে এই প্রথম এমন বৃহৎ আয়োজন হয়েছে। এতে অংশ নিয়ে আমরা আনন্দিত।  আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি। এ সম্মেলনের অর্জিত জ্ঞান ভবিষ্যতে কাজে দেবে।’


সর্বশেষ সংবাদ