চুয়েটে টেকাথন যুদ্ধে মেতেছে শিক্ষার্থীরা
- চুয়েট প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:০০ PM , আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩৫ AM
প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চুয়েটে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ‘এমআইই ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেক কার্নিভাল ২০২৫’। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) মেকাট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং (এমআইই) বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এই উৎসবের প্রথম দিনেই চোখে পড়েছে শিক্ষার্থীদের উদ্দীপনা ও উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা।
উৎসবের প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত হয় টেকাথন প্রতিযোগিতা, যেখানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংশ নেয় মোট ১৭টি দল। প্রতিযোগীরা মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় সাতটি বাস্তবভিত্তিক সমস্যা সমাধানে প্রতিযোগিতা করে। কখনো মনিটরে নিবিষ্ট দৃষ্টি, কখনো যন্ত্রাংশ নিয়ে গবেষণা—উৎসবের আয়োজনে ছিল টানটান উত্তেজনা।
প্রতিযোগিতায় চুয়েটের এমআইই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অংকন দে অনিমেষ বলেন, ‘বাংলাদেশে এমন প্রতিযোগিতা খুব কম হয়। এখানে সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার—দুইটিকেই একত্রে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বাস্তবভিত্তিক সমস্যাগুলো ধাপে ধাপে সমাধান করতে হচ্ছে, যা আমাদের অনেক কিছু শিখতে সাহায্য করছে।’
তাদের টিমের আরেক সদস্য তাসনিম জসীম নাবিলা জানান, ‘আমাদের টিমের নাম ‘এম্পটি ফোল্ডার’। এখন পর্যন্ত তিন-চারটি ধাপে আমরা অগ্রসর হয়েছি। সমস্যা কঠিন হলেও আমরা আশাবাদী।’
প্রথম দিনের আরেকটি উল্লেখযোগ্য আয়োজন ছিল ‘ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ ফর গার্মেন্টস’ শীর্ষক সেমিনার। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া এবং কী-নোট বক্তা ছিলেন সাউদার্ন আইওটি লিমিটেড-এর সিটিও মো. আরিফুল ইসলাম।
দ্বিতীয় দিনে আয়োজন রয়েছে সরাসরি চাকরির সুযোগ নিয়ে ক্যারিয়ার সেশনের। সাউদার্ন আইওটি লিমিটেড চুয়েটের বিভিন্ন বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সরাসরি নিয়োগের সুযোগ দেবে। শুধু এমআইই নয়, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরাও এতে আবেদন করতে পারবেন।
উৎসবের অন্যতম আয়োজক, এমআইই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান বলেন, ‘দেড় মাসের ব্যবধানে ‘এমআইই রোবল্যুশন’-এর পর আবার এমন একটি জাতীয় আয়োজন সম্ভব হয়েছে শুধু বিভাগের একাগ্র প্রচেষ্টায়। সাউদার্ন আইওটি লিমিটেড-এর পৃষ্ঠপোষকতায় এবারই প্রথম আমরা আয়োজন করেছি লক্ষ টাকার পুরস্কারসহ ‘এমআইই টেক কার্নিভাল’। দেশের ইতিহাসে এটিই প্রথম ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকাথন। একজন সংগঠক হিসেবে আমি গর্বিত।’
এমআইই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. প্রসেনজিত দাস বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের শিল্পক্ষেত্রের বাস্তব অভিজ্ঞতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। এমন আয়োজনের মাধ্যমে তারা চাকরি বাজারের বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারবে। এ ধরনের আয়োজন যত বাড়বে, ততই শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।’
প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় চুয়েটেরই টিম হাইপার থ্রেড। প্রথম রানার-আপ হয় টিম এনএসডব্লিউ এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় রানার-আপ হয় টিম সিন্ট্যাক্স ইররও মেভেরিক্স। পুরো আয়োজনটির পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিল সাউদার্ন আইওটি লিমিটেড