বহিষ্কারের তালিকা ছাত্রদল কীভাবে পেলো—প্রশ্ন কুয়েট শিক্ষার্থীদের

কুয়েট শিক্ষার্থীদের ডাই-ইন কর্মসূচি
কুয়েট শিক্ষার্থীদের ডাই-ইন কর্মসূচি  © টিডিসি ফটো

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, ডাই-ইন কর্মসূচি ও উপাচার্যের প্রতীকী গদি পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে কুয়েটের শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলেছেন, বহিষ্কারের তালিকা ছাত্র, শিক্ষক বা সংবাদমাধ্যম—কেউ না পেলেও তা ছাত্রদল কীভাবে পেলো?

আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে ঘুরে এসে ‘দুর্বার বাংলা’ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘প্রতীকী ডাই-ইন’ এবং উপাচার্যের প্রতীকী গদি পুড়িয়ে কর্মসূচি পালন করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পোস্টার ও ব্যানার হাতে মাটিতে শুয়ে ‘মৃতের’ অভিনয় করেন এবং পরে সেখান থেকে উঠে প্রতীকী গদিতে আগুন ধরিয়ে দেন।

এক শিক্ষার্থী দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, মাটিতে শুয়ে মৃতের অভিনয়ের মাধ্যমে আমরা ইন্টারিম সরকারের নিষ্ক্রিয় অবস্থান ফুটিয়ে তুলেছি। আমাদের উপর হামলা হয়েছে, অথচ সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। পরে প্রতীকী গদি পুড়িয়ে আমরা দেখাতে চেয়েছি, আমরা আমাদের অধিকার আদায়ে আন্দোলনে নেমেছি এবং স্বৈরাচারের পতন নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। 

পরে শিক্ষার্থীরা এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করেন, আন্দোলন দমন করতে নতুন একটি কমিটি গঠন করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অথচ সেই বহিষ্কারের তালিকা ছাত্র, শিক্ষক কিংবা সংবাদমাধ্যম—কেউ পায়নি। কেবল ছাত্রদলের হাতে সেই তালিকা কীভাবে গেল? এই উপাচার্য স্পষ্টভাবে সন্ত্রাসীদের পাহারাদার হিসেবে কাজ করছেন।

তারা আরও বলেন, শিক্ষকদের প্রতি আমাদের অনুরোধ, আপনারা যেন সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা না করে ছাত্রদের পাশে দাঁড়ান। যারা ছাত্রদের প্রতিনিধি হয়ে ইন্টারিম সরকারে আছেন, তাদের কাছেও প্রশ্ন—ছাত্রদের পাশে আপনারা কেন নেই?

সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে তারা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।


সর্বশেষ সংবাদ