মাভাবিপ্রবিতে ধর্ষণের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

মাভাবিপ্রবিতে ধর্ষণের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
মাভাবিপ্রবিতে ধর্ষণের বিরুদ্ধে মানববন্ধন  © টিডিসি ফটো

সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে বাড়তে থাকা ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ও যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে  বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এরপর ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে এসে এ কর্মসূচি শেষ হয়। এ সময় তারা ‘ধর্ষকের ফাঁসি চাই’, ‘নারী নির্যাতন বন্ধ করো’, ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি মানি না’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখর করে তোলেন পুরো ক্যাম্পাস এলাকা।

ফুড টেকনোলজি এন্ড নিউট্রিশন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী সমাপ্তি খান বলেন, ‘আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পড়াশোনা করতে আসছি। কিন্তু যদি মেয়েদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে আমরা মানসিক ভাবে হতাশ থাকি।আমি আশা করব, বর্তমান সরকার যেহেতু একটি অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে এসেছে ,তারা আমাদের কথা বুঝবে। যত দ্রুত সম্ভব ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে পরবর্তীতে এরকম ঘটনা না ঘটে।’

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফেরদৌস শান্ত বলেন, ‘দেশব্যাপী নারী নিপীড়ন এবং ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবি করছি। দাবি একটাই, ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই। বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ১৮৬০’ আইনের ১০০ ধারার ৩য় ধাপে বলা আছে, ‘কোনো ব্যক্তি যদি ধর্ষণের অভিপ্রায়ে আক্রমণ করে, তাহলে ঐ আক্রমণকারী হতে দেহের রক্ষার জন্য আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ করে মৃত্যু ঘটানো যায়। এবং এই মৃত্যু ঘটানো ‘খুন’ বলে বিবেচ্য হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ষণের চেষ্টাকারী কে হত্যা করাও আইনত বৈধ।এই সামান্য আইনটুকু সবাই জানলে বাসে, পার্কে কিংবা পিকনিক স্পটে অনেকে সাহসও পাবে না ধর্ষণের চেষ্টা করার। ধর্ষককে বাঁচাতে যে সকল আইনজীবীরা লড়েন তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন।’

এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী আদর্শে সবসময় মজলুমের পক্ষে, জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। আমরা দেখেছি ২০২৪ ও পরবর্তী সময়ে, এমনকি বিভিন্ন সময়ে তারা নানা নির্যাতন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছে।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘আমি প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, দ্রুত সময়ের মধ্যে ধর্ষকের বিচার করুন। না হলে আমাদের মা-বোনেরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবে না। স্বাধীনভাবে চলাফেরা করা প্রত্যেক মানুষের নাগরিক অধিকার। আমাদের রাষ্ট্রকে এটি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে আমাদের মা-বোনসহ সকল মানুষ নিরাপদ ও স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারেন।’


সর্বশেষ সংবাদ