হাবিপ্রবিতে নির্মাণ হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ফটক, ডিজাইনার শিক্ষার্থীরাই

হাবিপ্রবির ফটকের নকশা
হাবিপ্রবির ফটকের নকশা  © সংগৃহীত

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবির) প্রথম ফটকের নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে। দৃশ্যমান হয়েছে মূল স্থাপনা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এ দৃশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে অনেক।

জানা গেছে, ফটকটি নির্মাণের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ডিজাইন আহবান করা হয়। স্থাপত্য বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফার্নিয়া কবির ও তার দলের ডিজাইনটি নির্বাচিত হয়েছিল। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগ এ ফটকের নকশা প্রণয়ন করে। ২০২৩ সালের জুন মাসে নির্মাণকাজ শুরু হয়।

ফটকটির মূল এন্ট্রি অংশ ২০ ফুট এবং পথচারী এন্ট্রি অংশ ১০ ফুট প্রশস্ত। নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৩৪ লাখ টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ফটকের গুরুত্ব শিক্ষার্থীদের কাছে অপরিসীম। ভেতরে টিএসসি, ব্যাংক, ডি-বক্স, আবাসিক হলসহ গুরুত্বপূর্ণ নানান স্থাপনা রয়েছে। অনেকের পদচারণায় মুখর থাকে এলাকাটি। এছাড়া ফটকের পাশে অনেক দোকান থাকায় ব্যস্ত থাকে এ পথ।

ফটকটির মূল এন্ট্রি অংশ ২০ ফুট এবং পথচারী এন্ট্রি অংশ ১০ ফুট প্রশস্ত। নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৩৪ লাখ টাকা।

কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী জাবির আল মামুন বলেন, দেরিতে হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দৃষ্টিনন্দন ফটক নির্মাণকাজ হচ্ছে, এটা আমাদের জন্যে অত্যন্ত আনন্দের। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকগুলো অনেকটা পরিচায়ক হিসেবে কাজ করে। আর্টিকেল কিংবা নিউজে সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের ছবিগুলোই বেশি ব্যবহৃত হয়। সেক্ষেত্রে, দৃষ্টিনন্দন ফটকগুলো একটি ভালো ইম্প্রেশন তৈরিতেও যথেষ্ট ভূমিকা রাখে।

আরো পড়ুন: চবিতে ভর্তি: প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু আজ, পুনঃনির্ধারিত সময়সূচি প্রকাশ

তিনি বলেন, নির্মিতব্য তৃতীয় দৃষ্টিনন্দন ফটকও এমন পরিচায়ক হিসেবে ব্যবহার হবে বলে আশা করছি। পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন ফটক বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যকে কয়েক গুন বাড়িয়ে দেবে বলে আমার বিশ্বাস। নজরকাড়া স্থাপত্যের ফটকটি নির্মাণের জন্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লানিং, ডেভেলপমেন্ট এন্ড ওয়ার্কস শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. এ টি এম শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রথম ফটক আগে থেকেই ছিল। এটি শুধু আধুনিকায়ন করা হয়েছে। প্রথম ফটকটি শুধু প্রবেশদ্বার ছিল, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে যাচ্ছিল। আধুনিকায়নের ফলে ফটকটির সৌন্দর্য বহুগুণ বেড়ে গেছে। এর কাজ প্রায় শেষ, খুব দ্রুতই উদ্বোধন করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ