পবিপ্রবিতে বিশ্ব খাদ্য দিবস ও নিউট্রিশন ক্লাবের বর্ষপূর্তি উদযাপন
- পবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:৫৯ PM , আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:১৪ PM
‘ওয়াটার ইজ লাইফ, ওয়াটার ইজ ফুড’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২৩ পালন করেছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিউট্রিশন ক্লাব।
বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে পবিপ্রবি নিউট্রিশন ক্লাবের কর্মসুচি হিসেবে তীব্র উত্তাপে ক্লান্ত শ্রমজীবী মানুষ এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে নিরাপদ ও পর্যাপ্ত পানি পানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ক্যাম্পেইন করে। একইসাথে দিবসটি ঘিরে নিরাপদ পানি বিতরণ, কেক কাটা, র্যালি ও বৃক্ষরোপনসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। এছাড়াও একই দিনে পবিপ্রবি নিউট্রিশন ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নিউট্রিশন ক্লাব ডে পালন করে সংগঠনটি।
এ সময়ে খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বায়োক্যামিষ্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক সুজন কান্তি মালী, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান ও পোস্ট হারভেস্ট টেকনোলজি এন্ড মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম।
কেক কাটা পরবর্তী আলোচনায় প্রফেসর মোঃ শহিদুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এমন উদ্যোগ কোনো নির্ধারিত দিনে সীমাবদ্ধ না রেখে বছরব্যাপী খাদ্য সচেতনামুলক নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা উচিত।
আরও পড়ুন: ইউআইইউ’র নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম মিয়া
সহযোগী অধ্যাপক ও ক্লাব উপদেষ্টা সুজন কান্তি মালী হলের পুষ্টিকর খাবার ও নিরাপদ পানির প্রয়োজনীয়তা ও তার উপকারিতা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরতে ক্লাব সদস্যদের আহ্বান জানান এবং ক্লাবের এক বছরের যাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করে এটিকে অভূতপূর্ব ও সফল পথচলা বলে আখ্যা দেন।
নিউট্রিশন ক্লাবের সভাপতি মোঃ ফজলে রাব্বী প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর জোর দিয়ে বলেন, পরিমিত ও নিরাপদ পানি পানে গণসচেতনতা তৈরিতে নিউট্রিশন ক্লাব কাজ করে যাবে।
এছাড়া তিনি নিউট্রিশন ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ক্লাবের এই সফল অগ্রযাত্রায় সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি তিনি সপ্তাহব্যাপী প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
বিশ্বব্যাপী খাদ্যের জোগান, দরিদ্রতা ও পুষ্টিহীনতা দূর করে ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়ার লক্ষে ১৯৮১ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হয়ে আসছে।