বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন মাভাবিপ্রবির ১৩৫ শিক্ষার্থী
- মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:২৫ AM , আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:২৮ AM
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা সহযোগিতা প্রকল্পের ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’ (এনএসটি) পাচ্ছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ১৩৫ জন শিক্ষার্থী। সোমবার (৯ অক্টোবর) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ও উপ সচিব রতন কুমার মণ্ডল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
তিনটি গ্রুপের মধ্যে ভৌতবিজ্ঞান গ্রুপে মাভাবিপ্রবির সব থেকে বেশি শিক্ষার্থী ফেলোশিপ পাচ্ছেন। ৬৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন এই ক্যাটাগরির তালিকায়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ বিবেচনায় এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (ইএসআরএম) বিভাগের সর্বোচ্চ ২৫ জন শিক্ষার্থী ফেলোশিপের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
ভৌতবিজ্ঞান গ্রুপের তালিকায় ৬৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৩ জন ইএসআরএম বিভাগের, ২১ জন গণিত বিভাগের, ১১ জন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের, ৬ জন পরিসংখ্যান বিভাগের, ৫ জন রসায়ন বিভাগের এবং ২ জন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী স্থান পেয়েছেন।
এই তালিকায় প্রথম ১০০ জনের মধ্যে রয়েছেন ৬ জন শিক্ষার্থী। তারা হলেন- ইএসআরএম বিভাগের কেয়া আকতার (১৮তম); গণিতের আনিস কুমার (৬৫তম), জান্নাতুল মাফী (৮২তম) ও তাহামিনা আকতার (৯৫তম), রসায়নের ফারজানা ইয়াসমিন (৭২তম) এবং পরিসংখ্যানের তাকসিনা কবির।
তিনটি গ্রুপের মধ্যে খাদ্য ও কৃষি বিজ্ঞান গ্রুপে স্থান পেয়েছেন মাভাবিপ্রবির ২১ জন শিক্ষার্থী। এই ২১ জনের সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়টির ফুড টেকনোলজি এন্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স (এফটিএনএস) বিভাগের শিক্ষার্থী। এই ক্যাটাগরির তালিকায় প্রথম ১০০ জনের মধ্যে মাভাবিপ্রবির এফটিএনএস বিভাগের দুই জন শিক্ষার্থী স্থান পেয়েছেন। তারা হলেন- রোকসানা এ রব (৬৯তম) এবং রুদ্র চন্দ্র (৭৭তম)।
আরও পড়ুন: গবেষণার ভাবনা যেন ইউনিক হয়: সৌমিত্র শেখর
এছাড়া জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিজ্ঞান গ্রুপে ফেলোশিপ প্রাপ্ত হয়েছেন মাভাবিপ্রবির ৪৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ২০ জন ফার্মেসি বিভাগের, ১২ জন বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগের, ১১ জন বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) বিভাগের, ২ জন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (ইএসআরএম) বিভাগের এবং ১ জন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের।
এই ক্যাটাগরির তালিকায় প্রথম ১০০ জনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির একজন শিক্ষার্থী স্থান পেয়েছেন। তিনি হলেন- ফার্মেসি বিভাগের মো. মাসুম বিল্লাহ (২৮তম)।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা সহযোগিতা প্রকল্পের ভৌত বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং খাদ্য ও কৃষি বিজ্ঞানে এই ফেলোশিপের আওতায় স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা জনপ্রতি ৫৪ হাজার টাকা, এমফিল গবেষকরা ৬৮ হাজার ৪০০ টাকা এবং পিএইচডি গবেষকরা ৩ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবেন।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে গবেষণা সহযোগিতায় ১৯৯৫-৯৬ অর্থ বছর হতে এই ফেলোশিপ দিয়ে আসছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। এ বছর তিনটি গ্রুপে মোট ৩ হাজার ৮৪৫ জন ছাত্র-ছাত্রী/গবেষক এই ফেলোশিপের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।