ইন্টারনেট খরচ বেশি, তবুও অনলাইন ক্লাসে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা

  © সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আপাতত ঈদ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনা পরিস্থিতির কারণে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ থাকলেও চিন্তিত নয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ৬০ শতাংশ। ৪৭ শতাংশ অনলাইনে ক্লাস করতে আগ্রহী হলেও প্রায় সব শিক্ষার্থীই মনে করেন ইন্টারনেট খরচ অনেক বেশি।

আবার ৬০ শতাংশ শিক্ষক মনে করেন ডিজিটাল সরঞ্জামাদির অভাব রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। মহামারিকালীন উচ্চশিক্ষাদান পদ্ধতি নিয়ে করা এক জরিপে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বলছে, সীমাবদ্ধতা মেনেই অনলাইন ক্লাস নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ইউনেস্কোর তথ্য, করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী ১৫৯ কোটি আর বাংলাদেশে ১২ লাখ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী পড়তে যাচ্ছেন সেশনজটের ফাঁদে। তবে, এটা নিয়ে মোটেও চিন্তিত নয় বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের ৬০ শতাংশ। মাত্র ২২ শতাংশ জানিয়েছেন উদ্বেগের কথা। আর ৪৭ ভাগ শিক্ষার্থীর আগ্রহ আছে অনলাইনে ক্লাস করার।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্রানডেইস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ও বাংলাদেশের ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীর করা 'ব্রিজিং দ্য ডিজিটাল ডিভাইড টু ডেলিভার ইফেক্টিভ অনলাইন এডুকেশন' শীর্ষক যৌথ জরিপে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

অনলাইন জরিপে অংশ নেয়া ৬৯৫ শিক্ষার্থীর ৭৮ শতাংশের মত ইন্টারনেট খরচ বেশি আর ৩ ভাগের নেই ইন্টারনেট সুবিধা। এমন পরিস্থিতিতে উচ্চ শিক্ষায় ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহারে সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় ও মোবাইল অপারেটরদের যৌথভাবে কাজ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে ওই জরিপে।

রিসার্চার সাফিয়া শামা বলেন, বিভিন্ন যে ফোন কোম্পানিগুলো আছে তাদের সিএসআর থাকে সেই সিএসআর থেকে বিভিন্ন প্যাকেজ অফার দিতে পারে শিক্ষার্থীদের জন্য।

জরিপে মতামত দেয়া ৮৩ জন শিক্ষকের মধ্যে ৮০ শতাংশ অনলাইনে ক্লাস নিতে আগ্রহ দেখালেও এদের মধ্যে ৬০ শতাংশ মনে করেন এজন্য প্রস্তুত নয় বিশ্ববিদ্যালয়।

রিসার্চার জাভেদ ইকবাল বলেন, অনেকের কাছে স্মার্টফোন বা কম্পিউটার নেই। সেটার কেনার জন্য সরকার থেকে অনুদান দেয়া হতে পারে।

এদিকে অনলাইন ক্লাসে স্মার্টফোন উপযোগী করে শিক্ষা কার্যক্রম সাজানোর পরামর্শও দেয়া হয়েছে ওই জরিপে।


সর্বশেষ সংবাদ