বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ছাড়া সব দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার নিম্নমুখী

মূল্যস্ফীতি
মূল্যস্ফীতি  © প্রতীকী ছবি

মূল্যস্ফীতিতে টালমাটাল বিশ্বের অনেক দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা। বিগত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এ মূল্যস্ফীতির ধারা চলমান রয়েছে বাংলাদেশেও। সার্বিক মূল্যস্ফীতি যেমন বাড়তি, তেমনি খাদ্য মূল্যস্ফীতিও বাড়তি। তবে বিশ্বের অনেক দেশ এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারলেও বাংলাদেশ পারেনি এখনও।

মঙ্গলবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ, মিসর, জাপান, ভিয়েতনাম ও আর্জেন্টিনার খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার এখনো বাড়তি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল ও মালদ্বীপে মূল্যস্ফীতির সূচক নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। এরপর তা ৮ শতাংশের ঘরে নেমে এলেও সম্প্রতি আবার ৯ শতাংশের ঘরে উঠেছে। চলতি বছরের জুন মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবার ৯ দশমিক ৭ শতাংশ বা ১০ শতাংশের কাছাকাছি উঠে গেছে।

আরও পড়ুন: পেয়ারাবাগান দেখে ফেরার পথে ৬১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ট্রলারডুবি

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে খাদ্যের দাম কমছে। দুই সপ্তাহ আগের তুলনায় কৃষি ও শস্যজাতীয় খাদ্যের দাম ৪ থেকে ১২ শতাংশ কমেছে। মূলত ভুট্টার দাম কমার কারণে শস্যজাতীয় খাদ্যের দাম কমেছে। দুই সপ্তাহ আগের তুলনায় এই সপ্তাহে ভুট্টার দাম ২১ শতাংশ কমেছে। এই সময়ে গমের দাম ৩ শতাংশ কমলেও চালের দাম ১ শতাংশ বেড়েছে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার খাদ্য মূল্য সূচকও গত জুন মাসে কমেছে। গত মাসে তা ১২২ দশমিক ৩ পয়েন্টে নেমে আসে, আগের মে মাসে যা ছিল ১২৪। জানা গেছে, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসের পর এফএও খাদ্য মূল্য সূচক এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের মার্চ-জুন সময়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি ছিল জিম্বাবুয়েতে ৮০ শতাংশ। এরপর সবচেয়ে বেশি ছিল লেবাননে, সেখানেও তা ৪৪ শতাংশ। মিসরে ৩০ দশমিক ১ শতাংশ।

এছাড়াও প্রতিবেদনে জানায়, বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তা–সংকটের প্রতি সাড়া হিসেবে সংস্থাটি ২০২২ সালের এপ্রিলে ৩ হাজার কোটি ডলারের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার ঘোষণা দেয়, যার মধ্যে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার নতুন প্রকল্পে দেওয়ার কথা বলা হয়। সে লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ