শিখোতে নতুন বিনিয়োগের ঘোষণা স্টার্টআপ বাংলাদেশের
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৫, ০৪:৩৪ PM , আপডেট: ২১ জুন ২০২৫, ০২:০১ PM
দেশজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক শিক্ষাপদ্ধতির ব্যবহার বাড়াতে এডটেক স্টার্টআপ ‘শিখো’-তে বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড (এসবিএল)। বুধবার (৭ মে) এই বিনিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় পরিচালিত সরকারি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান এসবিএল।
এই বিনিয়োগের মাধ্যমে শিখোর মোট অর্থায়নের পরিমাণ ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্টার্টআপ বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক শিক্ষা উপকরণ ও কনটেন্ট তৈরির কাজ আরও বেগবান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে উভয় প্রতিষ্ঠান। শহর ও গ্রাম—দুই পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শিখোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহপ্রতিষ্ঠাতা শাহির চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি সমর্থন আমাদের জন্য একটি বড় মাইলফলক। এটি আমাদের অতীত কাজের স্বীকৃতি এবং ভবিষ্যৎ লক্ষ্য পূরণে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। এআই প্রযুক্তির বিকাশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শেখার ধরণ বদলে দেওয়া এবং শিক্ষক-শিক্ষাকেন্দ্রিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা এখন বাস্তব।’
আরও পড়ুন: ১০০ মেগাওয়াট সৌর প্ল্যান্ট স্থাপন করবে রবি: ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর
এই বিনিয়োগ পর্বে অংশ নিয়েছেন বেশ কয়েকজন ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীও। তাদের মধ্যে আছেন ওয়াসিকুর রহমান, কাজী জিশান রাবেত হাসান ও কাজী জাহিন শাহপার হাসান।
স্টার্টআপ বাংলাদেশের বোর্ড চেয়ারম্যান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শিশ হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘শিখো যে কাজ করছে, তা আমাদের ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, প্রভাবশালী ও টেকসই করে তুলবে। স্থানীয় উদ্ভাবকদের সমর্থন দিয়ে আমরা এমন একটি শিক্ষা পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই, যেখানে প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থী ক্ষমতায়িত হবে।’
উল্লেখ্য, শিখো একটি মোবাইল-ভিত্তিক ডিজিটাল শিক্ষাপ্ল্যাটফর্ম, যেখানে ভিডিও লেকচার, ইন্টারঅ্যাকটিভ কুইজ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর শেখার সরঞ্জাম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সমকালীন শেখার অভিজ্ঞতা তৈরি করা হয়। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি আরও বিস্তৃতভাবে শিক্ষার সুযোগ তৈরি করতে পারবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।