টোল প্লাজায় কর্মীদের মেরে টাকা নিয়ে চলে গেলেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২২, ১২:০০ PM , আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২২, ১২:০০ PM
কুষ্টিয়ায় মাস-উদ রুমী সেতুর টোল প্লাজার ছয় কর্মীকে বেধড়ক পিটিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এতে টোল প্লাজার ৬ কর্মী আহত হয়েছেন। পরে টোল প্লাজার টাকা নিয়ে গেছেন তারা। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে জেলা ছাত্রলীগের শোক দিবসের আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। সভায় অংশগ্রহণ করার জন্য কুমারখালী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেলে রওনা হন।
এ সময় সেতুর পশ্চিম দিকের টোল প্লাজায় পৌঁছালে দায়িত্বরত একজন কর্মী মোটরসাইকেল থামানোর চেষ্টা করেন। এ সময় পেছন থেকে আরও ৩০-৪০টি মোটরসাইকেল এসে পৌঁছায়। এ সময় তাঁরা মোটরসাইকেল থেকে নেমেই কর্মীদের বেধড়ক পিটুনি শুরু করেন। পরে টোলঘরের একটি গামলা থেকে একজন টাকা তুলে নিয়ে চলে যান। সেখানেও একজনকে পেটানো হয়।
টোল প্লাজায় দায়িত্বরত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাইক্রো ডাইনামিকের ম্যানেজার শামীম আহমেদ বলেন, মোটরসাইকেলে আসা যুবকের কাছে টোল চাইলে টোল আদায়কারীর ওপর চড়াও হন। পেছন থেকে ৩০-৪০টি মোটরসাইকেলে আসা যুবকেরা অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় অন্তত ছয় টোল আদায়কারী আহত হন। কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার সময় টাকাও ছিনিয়ে নেন যুবকরা।
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ জানান, বিষয়টি শুনেছেন। তবে কর্মীদের ওপর টোল প্লাজায় দায়িত্বরত কর্মীরা হামলা চালিয়েছে। এতে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন।
আরো পড়ুন: ‘এক পায়ে পাড়া দিমু, আরেক পা টাইনা ছিঁড়া ফেলমু’
কুমারখালী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন দাবি করেন, শোকসভায় পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় নেতা-কর্মীরা সবাই দ্রুত টোল প্লাজা পার হতে চাচ্ছিল। এ সময় কর্মচারীরা বাধা দেন এবং নেতা-কর্মীদের কটূক্তি করেন। এতে সেখানে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, বিষয়টি শুনেছেন, এটি তুচ্ছ ঘটনা। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। সেতুটির ইজারাদার কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীর ছেলে পারভেজ আনোয়ার তনু। ঘটনাস্থলে একাধিক সিসি ক্যামেরা রয়েছে। ফুটেজ খতিয়ে দেখলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে কারা হামলা চালিয়েছে।