শিক্ষক উৎপলকে পিটিয়ে হত্যা—কলেজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায় মাউশি

হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং নিহত শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার
হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং নিহত শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার  © ফাইল ছবি

সাভারের হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। ছাত্রের আঘাতে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারে মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। গত ১৪ জুলাই প্রতিবেদনসহ মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে অধিদফতর।

চিঠিতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাও উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলেজের মাধ্যমিক স্তরের অনুমোদন নেই, পরিচালনা কমিটিও মেয়াদোত্তীর্ণ। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে পরিচালনা পর্ষদ গঠনের প্রস্তাব স্থগিত রেখে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে কলেজকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করা হয় আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর দেওয়ান ইদ্রিস আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। তবে এ বছর আমছিমোড় সেসিপ মডেল হাইস্কুলের নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানে তিন বছরের নির্বাহী কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয় ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে। কমিটির মেয়াদ শেষ হলে অ্যাডহক কমিটি গঠন প্রক্রিয়াধীন।

ঘটনার বর্ণনায় বলা হয়েছে, গত ২৫ মে প্রতিষ্ঠানের ছাত্র আশরাফুল ইসলাম জিতু আঘাত করায় উৎপল কুমার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। কলেজটির পঞ্চম শ্রেণি বনাম অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীদের ক্রিকেট খেলা চলছিল। উৎপল কুমার পঞ্চম শ্রেণির কোচের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি খেলা দেখছিলেন। আম্পায়ারিং করেছেন প্রভাষক শরিফুল ইসলাম। বেলা ১টা ১০ মিনিটের দিকে হঠাৎ দশম শ্রেণির ছাত্র আশরাফুল ইসলাম উৎপল কুমার সরকারের মাথায় ও বুকে আঘাত করতে থাকেন।

ঘটনা দেখামাত্র শরিফুল ইসলাম দৌড়ে গিয়ে জিতুকে ধরে ফেলেন। তার আগেই জিতু উৎপল কুমারের মাথা ও বুকে কয়েকটি আঘাত করেন। তার অবস্থা খারাপ হতে থাকায় জিতুকে ছেড়ে অন্য শিক্ষকদের সহযোগিতায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান শরিফুল। এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৭ মে মৃত্যুবরণ করেন উৎপল সরকার।

আরো পড়ুন: স্কুলে সবার কাছে উচ্ছৃঙ্খল হিসেবে পরিচিত জিতু: র‌্যাব

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক স্তর ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে একাদশ শ্রেণিতে পাঠদানের প্রাথমিক অনুমতি দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের জুলাই থেকে স্থায়ী স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ৩০ জুন মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। সেখানে নার্সারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত চালু আছে। মাধ্যমিক স্তরের কোনও অনুমতি নেই।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!