মামলার পর ধর্ষণের ভিডিও অনলাইনে, তরুণীর আত্মহত্যা

  © প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণ মামলার চার দিন পর অনলাইনে ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ায় এক তরুণী গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। জেলার বন্দর উপজেলার বালিয়াগাঁও এলাকায় সোমবার (৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে ২২ বছর বয়সী তরুণীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।

জানা গেছে, গত ২ বছর ধরে বন্দর উপজেলার বালিয়াগাঁও এলাকার মৃত জামির খানের ছেলে নুরুল আমিন একই এলাকার এক দিনমজুরের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সর্ম্পকের সূত্র ধরে নুরুল আমিন বিভিন্ন সময়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। গত ২২ মে সকাল পৌনে ১১টায় ফের ধর্ষণের পর সেই তরুণী নুরুল আমিনকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। কিন্তু নুরুল আমিন বিয়ে করতে অনীহা প্রকাশ করেন।

ওই ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে গত ২ জুন নুরুল আমিনকে আসামি করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

ধর্ষণের শিকার তরুণীর মা জানান, থানায় মামলা করার জের ধরে ধর্ষক নুরুল আমিনের স্ত্রী শ্যামলী বেগম ও একই এলাকার তাওলাদ হোসেনের ছেলে ধর্ষকের ভাগ্নে গত রবিবার (৪ জুন) তার মেয়ের ভিডিও ভাইরাল করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তার মেয়ে সোমবার সকাল ১০টায় নিজ ঘরের আঁড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন জানান, এলাকাবাসীর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে আমি ও মদনগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হই। পরে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। তরুণীর আত্মহত্যা করার পর থেকে ধর্ষক নুরুল আমিন ও অশ্লীল ভিডিও ভাইরালকারী ধর্ষকের স্ত্রী শ্যামলী ও ভাগ্নে পলাতক রয়েছেন। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ