কলেজছাত্রীকে জড়িয়ে ধরেন ছাত্রলীগ নেতা হাবিব, ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ মে ২০২২, ০২:৩৫ PM , আপডেট: ২০ মে ২০২২, ০২:৪৩ PM
রাজধানীর বাঙলা কলেজের এক ছাত্রীকে একা পেয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। বুধবার (১৮ মে) দুপুর ২টা ১০ মিনিটে কলেজের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইংরেজী বিভাগের ভুক্তভোগী ছাত্রী কলেজ প্রশাসন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান হাবিব কলেজের পদার্থবজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের ছাত্র। একইসঙ্গে তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক এবং তিনি সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক চৌধুরীর অনুসারী।
লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, গতকাল আমি নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় লাইব্রেরী থেকে পড়া শেষ করে ফেরার পথে সিড়িতে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের হাবিবুর রহমান হাবিবের সঙ্গে দেখা হয়। কথা বলার এক পর্যায়ে সে আমার হাত ধরার চেষ্টা করে। আমি বাধা দিলে সে আমায় জড়িয়ে ধরে এবং অসৎ উদ্দেশ্যে গায়ে হাত দেয়। আমাকে খুব বাজেভাবে হয়রানি করে। আমি চিৎকার করলে সে আমার মুখ চেপে ধরে।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, এ সময়টাতে আমি আসেপাশে কাউকে পাইনি। কারণ এটা দুপুরের সময় ছিল ও নতুন ভবনের কারণে সবকিছু চালু না হওয়ায় তেমন কোন শিক্ষার্থীও ছিলো না। এই ঘটনার পর থেকে আমি এবং আমার পরিবার শঙ্কার মধ্যদিয়ে সময় পার করছি।
আরও পড়ুন: বাঙলা কলেজে নির্মাণাধীন ভবন থেকে লাশ উদ্ধার
এদিকে, এ ঘটনার পর অভিযুক্ত হাবিব ওই ছাত্রীকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে লিখেন, ‘‘ক্ষমা চাইছি, দয়া করে ক্ষমা করে দাও। আর জীবনেও এমন অপরাধ হবে না। আমি সত্যিই লজ্জিত।’’
এই বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত হাবিব বলেন, ‘‘এটা মিথ্যা কথা। আমার সাথে এরকম কিছু হয়নি। তবে এমন ঘটনা না ঘটলে ওই ছাত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন কেন জানতে চাইলে হাবিব বলেন, ‘‘আমি ব্যস্ত আছি, আপনার সাথে পরে কথা বলবো’’ বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
ছাত্রীর লিখিত অভিযোগের বিষয়ে অবশ্য কলেজ প্রশাসনের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কথা বলতে সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী খানকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করা হয়েছে। কিন্তু তার কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঙলা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক মিটুল চৌধুরী বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টা নিয়ে বসবো, আমরা কথা বলবো।’’
দারুস সালাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, এই ধরনের কোন অভিযোগ আমরা এখনও পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, হাবিবুর রহমান হাবিব এর আগেও একাধিকবার ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রুবেলকে কলেজ ক্যাম্পাসে কুপিয়ে আহত করেন তিনি। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে এখনো দারুসসালাম থানায় মামলা চলমান। এছাড়াও গত ১২ এপ্রিল বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতির দুই সাংবাদিককে কলেজ ক্যাম্পাসে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।