১৩ ছাত্রীকে ধর্ষণ, ইন্দোনেশিয়ায় শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

আদালতে বিচার চলার সময় পাহারা দিচ্ছেন দুই জন পুলিশ কর্মকর্তা
আদালতে বিচার চলার সময় পাহারা দিচ্ছেন দুই জন পুলিশ কর্মকর্তা  © ফাইল ছবি

ইন্দোনেশিয়ায় ১৩ মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে এক শিক্ষককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। ওই শিক্ষককে প্রথমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত, কিন্তু তার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিলেন সরকারি কৌঁসুলিরা; তাদের আপিল আবেদনে সাড়া দিয়ে আজ সোমবার নতুন রায় দেয় উচ্চ আদালত।

শিক্ষক হেরি উইরাওয়ানের (৩৬) এ ঘটনা ইন্দোনেশিয়াকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। আবাসিক মাদ্রাসাগুলোতে যৌন সহিংসতা থেকে শিশুদের রক্ষা করা কতোটা দরকার, এ ঘটনা তা সামনে নিয়ে আসে।  

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে সরকারি কৌঁসুলিরা মৃত্যুদণ্ড চাইলেও বানদুং শহরের নিম্ন আদালত ‍হেরিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল, কিন্তু পরে তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন।

আজ সোমবার বানদুংয়ের উচ্চ আদালতের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বিচারক বলেন, (আমরা) এতদ্বারা আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দিচ্ছি।

উচ্চ আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবেন কি না, এমন প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি হেরির আইনজীবী মামবো। এ বিষয়ে মন্তব্যের আগে রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি দেখতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

স্থানীয় সরকারি কৌঁসুলির দপ্তরও জানিয়েছে, এ বিষয়ে মন্তব্যের আগে চূড়ান্ত রায় পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবে তারা।

ফেব্রুয়ারিতে আদালত জানিয়েছিল, ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে হেরি যৌন নিপীড়ন করার অভিপ্রায়ে ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী ১৩ বালিকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন, পরে তাদের মধ্যে আট জন গর্ভবতী হয়ে পড়ে।

ইন্দোনেশিয়ার শিশু সুরক্ষামন্ত্রীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারাও ওই শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ডের আবেদনে সমর্থন জানান। তবে দেশটির মানবাধিকার কমিশন এই মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করে রায় যথাযথ হয়নি মন্তব্য করে এর সমালোচনা করেছে।

ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। দেশটিতে লাখো আবাসিক মাদ্রাসা ও অন্যান্য ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। দরিদ্র পরিবারগুলোর শিশুদের শিক্ষা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রায়ই এসব প্রতিষ্ঠান একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence