বাস চাপায় বিইউপি শিক্ষার্থী আবরার হত্যা
আট দফা দাবিতে আজ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০১৯, ০৯:১১ AM , আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৯, ০৯:২২ AM
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রোফেশনাল (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী বাসচাপায় নিহতের ঘটনায় আট দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ বুধবার আবারও অন্দোলনে নামছে শিক্ষার্থীরা। সারাদেশে ক্লাস বর্জন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। রাজধানী ঢাকায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ শেষে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আমাদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলে। বুধবার আবার তাদের আন্দোলন চলবে। সকাল ৮টা থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করা হবে। নিজনিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস বর্জন করে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়ার আহ্বানও জানানো হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মায়েশা নূর বলেন, আমাদের এই আন্দোলন গতবছরের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ধারাবাহিকতা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। এই আন্দোলনে গতবছরের মতো কোনও হামলা ও রক্তাক্ত চেহারা দেখতে চাই না। আমরা পুলিশ বাহিনীর কাছ থেকে নিরাপত্তা চাই। আন্দোলনের সময় আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে মায়েশা নূর বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে আটদফা দাবি দিয়েছি। এটা গণমাধ্যমে চলে এসেছে। আমাদের এই আন্দোলন কোনও রাজনৈতিক আন্দোলন না। আমাদের এই আন্দোলনে রাজনৈতিক কোনও দল বা ব্যক্তিকে গ্রহণ করবো না। সবাই নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র নিয়ে আন্দোলনে যোগ দেবেন। আমরা আমাদের অভিভাবকদের এই আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করছি।’
আট দফা দাবির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, চালকের সর্বোচ্চ শাস্তি–এ কথা উল্লেখ করে মায়েশা নূর বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি বলতে বাসচালকের ফাঁসি চেয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘গতবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে জাবালে নূরের রোড পারমিট বাতিল করা হয়েছিল বলে আমাদের জানানো হয়েছিল। কিন্তু জাবালে নূর এখনও রাস্তায় চলছে। আমরা জাবালে নূর ও সুপ্রভাত বাস রাস্তায় দেখতে চাই না।"
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর কুড়িলের যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাসে ওঠার সময় পেছন থেকে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস বিইউপি শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। এ দুর্ঘটনার পর থেকেই নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আবারও আন্দোলনে নামে।