খুনের পর খণ্ডবিখণ্ড করা হয় এমপি আনারের মরদেহ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ মে ২০২৪, ০১:১৫ PM , আপডেট: ২২ মে ২০২৪, ০১:৩৬ PM
কলকাতার নিউ টাউন এলাকার এক ফ্ল্যাট থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের খণ্ডবিখণ্ড লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে খুনের পর দেহের মূল অংশ ট্রলিতে ভরে পাচার করা হয়েছে, আর দেহাবশেষ উদ্ধার করা গেছে। এ হত্যাকাণ্ডে ছয়জন অংশ নিয়েছেন। যারা সবাই বাংলাদেশি।
এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল-২৪ এর কলকাতা প্রতিনিধি শুভজিৎ পুততুন্ড। বুধবার টেলিভিশনটির লাইভ ব্রডকাস্টে যুক্ত হয়ে তিনি দাবি করেন, ‘এমপির সম্পূর্ণ মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। কারণ দেহের মূল অংশ ট্রলিতে পরে পাচার করা হয়েছে, তার দেহাবশেষ উদ্ধার করা গেছে।’
তিনি বলেন, এমপি যে ফ্ল্যাটে খুন হন সে, ফ্ল্যাটের মালিক একজন বাংলাদেশি। তাকে খুঁজছে পুলিশ। তিনি বেনামে এখানে এ ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডে মোট ছয়জন অংশ নিয়েছিলেন। তাদের সবাই বাংলাদেশি নাগরিক।
শুভজিৎ পুততুন্ডের দাবি, এমপিকে হত্যার পর পাঁচজন দেশে ফিরে আসে এবং একজন এখনও ভারতেই অবস্থান করছে। তবে বাংলাদেশে ফিরে আসা পাঁচজনের মধ্যে একজন অন্য দেশে পাড়ি দিয়েছে বলেও জানা গেছে। আর ভারতে অবস্থান করা ব্যক্তিকে আটক করতে চেষ্টা করছে ভারতের পুলিশ।
যারা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে তাদের জিজ্ঞাবাসে ডিএমপি এমপি আনারের মরদেহের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পেরেছে বলে তিনি দাবি করেন।
এদিকে এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। তিনি পেশায় একজন ক্যাবচালক। পুলিশের জিজ্ঞাবাদে তিনি জানান, এক সপ্তাহ আগে নিখোঁজ হওয়া বাংলাদেশের ঝিনাইদহের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমকে হত্যা করা হয়েছে এবং মরদেহ দেহ খণ্ডবিখণ্ড করে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
কলকাতা বিধান নগর পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মানব শ্রিংলা বলেছেন, ক্যাবচালক স্বীকারোক্তি দিয়েছে ১৩ মে যে ব্যক্তিকে সে গাড়িতে তুলেছিল তাকে হত্যার পর টুকরা টুকরা করে লাশ ছড়িয়ে দিয়েছে।
পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যে ফ্ল্যাটে মরদেহ পাওয়া গেছে সেটি পুলিশ ঘিরে রেখেছে। সেখানে কাউকে এখনও ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। ওই ফ্ল্যাটে তিনজনকে ঢুকতে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে। এদের মধ্যে একজন মহিলা। তবে ওই তিন জনকে সেখান থেকে বের হতে আর দেখা যায়নি।
এ ঘটনায় বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেছেন, আনোয়ারুল আজিমের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কলকাতা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।