শিক্ষাক্রম নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা, গ্রেফতার ৪ শিক্ষক কারাগারে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:১৬ PM , আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৩ PM
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে চার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২৩ নভেম্বর রাজধানী ঢাকা থেকে তিনজন এবং টাঙ্গাইল থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
রিমান্ড শেষে আসামিদের ২৬ নভেম্বর আদালতে তোলা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জাহাঙ্গির কবির, কাজী পনির, আবুল হাসনাত কবির ও গোলাম রাব্বী। তাদের মধ্যে একজন টাঙ্গাইলে নিজের তৈরি একটি স্কুল চালাতেন। অপর তিনজন ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষাদান করতেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অপ্রকাশিত বই প্রকাশসহ বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করছিলেন কিছু ব্যক্তি। তারা ফেসবুক আইডি, ফেসবুক গ্রুপ ও পেজে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ছবি ব্যবহার করে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব ফেসবুক গ্রুপ, ফেসবুক পেজে চলমান শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের বিভিন্ন তথ্য প্রচার করা হতো। এমন অভিযোগে আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হলে মামলার তদন্তে নেমে এই চাজনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, আসামিরা অনলাইনে শিক্ষাদান করতেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাসনাত কবির অনলাইন ও অফলাইনে স্কুলের শিক্ষার্থীদের গণিত ক্লাস নিতেন। গণিত শিক্ষা বিষয়ক তার ফেসবুক পেজ, গ্রুপ এবং ইউটিউব চ্যানেল আছে। তিনি তার এসব পেজ এবং গ্রুপে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য এবং এনসিটিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথোপকথন রেকর্ডিং করে বিনা অনুমতিতে প্রকাশ করেন। আরেক গণিত শিক্ষক গোলাম রাব্বী স্কুল শিক্ষার্থীদের গণিত পড়াতেন। তারা দুজনেই বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে অনলাইনে গ্রুপ খুলে নানা ভাবে সমালোচনা করে সাইবার নিরাপত্তা আইনে বিভিন্ন ধারায় অপরাধ করছেন।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে এর আগে এনসিটিবি বোর্ডের সহকারী সচিব আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।