শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্লাস চলাকালীন ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

  © সংগৃহীত

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রী প্রধান শিক্ষকের কাছে মৌখিক অভিযোগ জানান। পরে অভিযুক্ত শিক্ষককে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়। 

বুধবার (১৫ মার্চ) এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ওই সহকারী শিক্ষকের নাম মিজানুর রহমান মোল্যা। ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে চলে গিয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় তদন্তের জন্য বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে। তবে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। 

আরও পড়ুন: ১০ বছরেও বিচার হয়নি ত্বকী হত্যাকাণ্ডের, আইভীর আক্ষেপ

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করে আসছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান মোল্যা। গত বুধবার তিনি দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন ক্লাস চলাকালীন সময়ে। ওই ছাত্রী বিষয়টি তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করে মৌখিকভাবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জনান। প্রধান শিক্ষক ওই ছাত্রীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষক মিজানুর রহমানকে স্কুল থেকে বের করে দেন ।

ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, একজন শিক্ষকের কাছ থেকে আমরা এটা আশা করি না। এর আগেও তিনি অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন আচরণ করেছে। তারা কেউ লজ্জা ও ভয়ে অভিযোগ করেনি। কিন্তু আমি এ ঘটনার পর প্রধান শিক্ষকের কাছে মৌখিক অভিযোগ করি। পরে তাকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়। আমি এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চাই। 

ছাত্রীর অভিভাবক জানান, আমরা ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জন্য স্কুলে পাঠিয়ে নিরাপদ মনে করি। কিন্তু শিক্ষক মিজানুর রহমানের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে আমরা হতবাক ও লজ্জিত। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাসান আলী চৌধুরী জানান, ছাত্রী ও অভিভাবকের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ওই শিক্ষককে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়। ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষক কমিটি যৌথ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষকের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুর রহমানের এলাকায় গেলে, তিনি আত্মগোপনে চলে গিয়েছেন বলে জানা যায়। 

এ বিষয়ে কাশিয়ানি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাহফুজা বেগম বলেন, কোনো লিখিত অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। ইতোমধ্যে বিষয়টি আমি শুনেছি। স্কুল কর্তৃপক্ষ  তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর প্রতিবেদন দেখে আমরা ব্যবস্থা নেব। 


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence