স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে যুবককে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:৪৮ PM , আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:৪৮ PM
লক্ষ্মীপুরে ফার্নিচার দোকানে নকশার কাজ করা এক কারিগরকে হত্যার ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।
কারিগর রিয়াজ হোসেন হত্যার ঘটনায় কাউছার হোসেন ও রাকিব হোসেন নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তারের পর র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার এক যুবকের স্ত্রীর সঙ্গে নিহত ওই কারিগরের পরকীয়া সর্ম্পক নিয়ে সন্দেহে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। নিহত রিয়াজ দত্তপাড়া ইউনিয়নের করইতলা গ্রামের মোহাম্মদ উল্যা মিকারের বাড়ির তোফায়েল আহমেদ দুলালের ছেলে ও মান্দারী বাজারের দ্বীন ইসলাম ফার্নিচার দোকানের নকশার কারিগর। কাউছার যাদৈয়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে এবং রাকিব তেয়াওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের বিনোদধর্মপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। গ্রেপ্তার এক যুবকের স্ত্রীর সঙ্গে নিহত ওই কারিগরের পরকীয়া সর্ম্পক নিয়ে সন্দেহে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব অধিনায়ক মাহমুদুল জানান, একই প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে সুযোগে কাউছারের বাসায় আসা যাওয়া ছিল ভিকটিম রিয়াজের। এতে কাউছারের স্ত্রীর সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। এরমধ্যে কাউছার তার স্ত্রীর সঙ্গে রিয়াজের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে সন্দেহ করে বিষয়টি রাকিবকে জানায়। তখন তারা রিয়াজকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী গত দুই মাস আগে সদর উপজেলার মান্দারী বাজার এলাকার উম্মে সালমা ভবনে বাসা ভাড়া নেয়। এরপর মঙ্গলবার রাতে মোবাইলফোনে কল করে রিয়াজকে সেখানে ডেকে নেয় কাউছার। এরপর চেতনানাশক ওষুধ মেশানো খাবার খাইয়ে রিয়াজকে অচেতন করা হয়। এরপর হাত-পা বেঁধে মাথায় আঘাত ও নাকে-মুখে গামছা পেঁচিয়ে রিয়াজকে হত্যা করে তারা। এরপরই দরজার বাইরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় ঘাতক কাউছার ও রাকিব। এরপর অভিযুক্তরা অর্থ আত্মসাতের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে রিয়াজের মোবাইল থেকে তার পরিবারের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
এ ঘটনায় রিয়াজের মা খুরশিদা বেগম তার ছেলে অপহরণের বিষয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন এবং র্যাবের কাছে সহযোগিতা চান।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মান্দারী এলাকার ওই ভবনের নিচতলার একটি কক্ষ থেকে হাত-পা বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় রিয়াজের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এরপর তদন্ত ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শুক্রবার ভোরে মান্দারী ইউনিয়নের যাদৈয়া এলাকা থেকে প্রথমে কাউছারকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে কাউছার। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে সহযোগী রাকিবের অবস্থান নিশ্চিতও করে। কাউছারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭ ও র্যাব-১১ এর যৌথ অভিযানে চট্টগ্রাম শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে রাকিবকে আটক করা হয়।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া দুজনকে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।