সড়কে ঝরল জিপিএ-৫ পাওয়া ফুয়াদের প্রাণ

নাফিউস ফুয়াদ
নাফিউস ফুয়াদ  © সংগৃহীত

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র নাফিউস ফুয়াদ। ২০২১ সালে জয়পুরহাট সরকারি রামদেও বাজলা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিল সে। তাকে ঘিরে মা-বাবার অনেক স্বপ্ন ছিল। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ক্ষেতলাল পৌর শহরের মালিপাড়ায় ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মা–বাবার সেই স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেছে।

ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে অটোরিকশার চালকসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তাদের একজন নাফিউস ফুয়াদ। ক্ষেতলাল পৌর শহরের শাখারুঞ্জ চৌধুরীপাড়া গ্রামে নাফিউস ফুয়াদের বাড়ি। তার বাবা মুদিদোকানি রফিকুল ইসলাম মৃধা ও মা নাদিরা বেগম। ফুয়াদের অকালমৃত্যুতে পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সোমবার দুপুরে ফুয়াদের বাবা রফিকুল ইসলাম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘হামার ছল অনেক শান্ত। সে একটি টাকাও বেশি নিত না। ওকে নিয়ে হামার অনেক স্বপ্ন ছিল। আজ হামার সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। এখন কার জন্য দোকান করমু।’

ফুয়াদের বড় বোন নদী আখতার বলেন, জয়পুরহাটে কোচিং করত, সেখানে থাকত। সে প্রায় ১৫ দিন পর আজকে বাড়িতে আসছিল। নাফিস বাড়িতে এসে তার স্মার্টফোন আমাকে দিয়ে আমার বাটন ফোন নিয়ে যেতে চেয়েছিল। সেই সুযোগ আর পেল না।

দুর্ঘটনার বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিবুল ইসলাম বলেন, ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার চালকসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহত পাঁচজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জয়পুরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড আপস) ফারজানা হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ওই স্থানে কোনো মোড় নেই, আবার কুয়াশাও ছিল না। ট্রাকচালক নাকি অটোরিকশাচালক কার দোষ ছিল, সেটি খুঁজে দেখা হচ্ছে। ট্রাকচালক ঘটনার পরপরই পালিয়ে গেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ