বৃহৎ গণজমায়েতের প্রস্তুতি ৩৫ আন্দোলনকারীদের
- ফরহাদ কাদের
- প্রকাশ: ১৮ জুন ২০১৯, ০৪:১৫ PM , আপডেট: ১৮ জুন ২০১৯, ০৪:৩৭ PM
সারাদেশের ৩৫ প্রত্যাশী চাকরিপ্রার্থীদের বৃহৎ গণজামায়েতের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি। আগামী ৬ জুলাই সকাল ১০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচির প্রস্ততি চলছে। ৩৫ চাই দাবিতে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলতে এই সমাবেশ গণজামায়েত রূপ নিবে বলে আশা করছেন আন্দোলনকারীরা।
টানা কয়েক বছর ধরে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তবে এখন পর্যন্ত শুধু হতাশই হতে হয়েছে তাদের। জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে নাকচ হয়েছে ৩৫-এর সব চাওয়া-পাওয়া। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসেননি আন্দোলনকারীরা।
সংগঠনটির মুখপাত্র ইমতিয়াজ হোসেন গণজামায়েতের প্রস্তুতি সম্পর্কে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সারাদেশের ৩৫ প্রত্যাশী সহযোদ্ধারা আমরা এখন সকলেই একত্রিত হয়েছি। যেখানে কোন গ্রুপিং এর অস্তিত্ব নেই। ৬ জুলাইয়ের কর্মসূচি সকলকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এইদিন বৃহৎ একটি গণজমায়েত করার ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছি। সারাদেশের প্রতিটি জেলা থেকে ৩৫ চাই আন্দোলনকারীরা যোগ দিবেন। আমাদের যৌক্তিক দাবির সবার সম্মতি রয়েছে। তাই শক্তিশালী ও জোরালোভাবে আমাদের চাওয়া উপস্থাপন করতে পারলে শ্রীঘ্রই একটি সুখবর পাওয়ার আশা করছি। ইতোমধ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গেও আমাদের সাক্ষাৎ হয়েছে। এসময় ছাত্রলীগের নেতৃস্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। তিনিও আশ্বস্ত করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও আমাদের দাবির উপস্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছি।
৩৫চাই আন্দোলনকারীদের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে আরও কোন দ্বন্দ্ব নেই বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে যে ভুলবোঝাবুঝি হয়েছিলো তার মিটমাট হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে নতুন আহ্ববায়ক কমিটি দেয়া হয়েছে। এখন সকলকে নিয়ে একটি সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আশা করছি, এখন থেকে আন্দোলন আরও জোরধার হবে। ৩৫ চাই চাকরিপ্রার্থীদের প্রাণের দাবি আদায় হবে।
এসময় তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে আরও বলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সম্পাদক শোভন-রাব্বানীসহ ডাকসুর ভিপি নুর সহ ছাত্রনেতারা আমাদের দাবিতে সম্মতি প্রদান করছেন। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন উচ্চমহলেরও সম্মতি রয়েছে। তারপরও সরকারের পক্ষ থেকে ৩৫’র ঘোষণা আসতে কেন বিলম্বিত হচ্ছে তা বোধগম্য নয়। তবে এবার আমাদের দাবি আদায়ে আর শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে বলে মনে করছি।