ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াই শিক্ষার্থীদের চাকরি দেবে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৩, ১০:৪৭ AM , আপডেট: ১৯ মে ২০২৩, ০১:৫০ PM
ওয়ার্ক পারমিট নেই-এমন অবৈধ অভিবাসীকে চাকরি প্রদানের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া (ইউসি)। বৃহস্পতিবার ( ১৮ মে ) কয়েক দশকের পুরনো যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন আইনকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে ইউসি গভর্নিং বডির মধ্যে অনুষ্ঠিত ভোটের পর এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। নভেম্বরে সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। খবর ইয়াহু ডট কম।
বোর্ডের চেয়ার রিচার্ড লিইব এ প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের স্বার্থে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সহায়তা করতে আমরা বদ্ধপরিকর। মেধাবি শিক্ষার্থীরা অর্থ সংকটে পড়ে ঝরে পড়বেন-এমন কথা ভাবতেও পারি না। তবে এই সিদ্ধান্ত নভেম্বরের আগে কার্যকর করা সম্ভব হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং বিশ্লেষণ করতে হবে, সবার সাথে কথা বলে নিশ্চিত হতে হবে যে আমরা সঠিকভাবে কাজটি করছি কিনা। ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টরা ক্যাম্পাসে কাজের সুযোগ পেলে অর্থ সংকটে পড়বে না এবং তাদের মেধাবেও ইউসি কাজে লাগাতে সক্ষম হবে। শুধু তাই নয়, কাজের সুযোগ পেলে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভাগ্য উন্নয়নের পথ সুগম হবে।
এমন সিদ্ধান্ত হাজার হাজার শিক্ষার্থীর জীবন বদলে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেজ্ঞরা। উল্লেখ্য ১৯৮৬ সালে প্রেসিডেন্ট রিগ্যাণের জারিকৃত এক বিধি অনুযায়ী ওয়ার্ক পারমিট নেই এমন বিদেশীদের চাকরি প্রদানের সুযোগ নেই। সেই বিধিকে চ্যালেঞ্জ করেই ইউসি এমন সিদ্ধান্ত নিল।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্যতম ইউসির ১০ ক্যাম্পাসে দুই লাখ ৯৫ হাজার শিক্ষার্থীর সকলেই আইনগত পরামর্শ, অর্থনৈতিক সহায়তা, কাউন্সেলিং পাচ্ছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ওয়ার্কপারমিট নেই এমন শিক্ষার্থীও রয়েছেন। ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট পার্লামেন্টের ডেমক্র্যাট নীতি-নির্ধারকরা ২০০১ সাল থেকে টিউশনি ফি নানাক্ষেত্রে মওকুফের বিধি করেছে-যার সুবিধা ওয়ার্ক পারমিট বিহীনরাও পাচ্ছেন। এমনকি ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টরা স্টেট প্রদত্ত অর্থনৈতিক সহায়তারও আবেদন করছেন। রিপাবলিকানরা আপত্তি করেও তা ঠেকাতে পারেননি।
পরিচালনা পর্ষদের অন্যতম সদস্য হোযে হারনার্ন্ডেজ এ প্রসঙ্গে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চতর শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে ইউসি হচ্ছে সেরা প্রতিষ্ঠান এবং সবসময় প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনাকে প্রমোট করছে। সে আলোকে আমি আশা করছি অন্য স্টেটের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ইউসিকে ফলো করবে ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের সুন্দর ভবিষ্যতের প্রত্যাশা পূরণে।