নন-ক্যাডার সুপারিশের নতুন নিয়ম বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২২, ০১:৪৪ PM , আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২২, ০১:৪৪ PM
৪০তম বিসিএস থেকে নন-ক্যাডার সুপারিশে নতুন নিয়ম বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সকালে সরকারি কর্ম কমিশনের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।
এর আগে বুধবার ৪০তম বিসিএসে উত্তীর্ণদের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মানববন্ধনের ঘোষণা দেন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা। বিজ্ঞপ্তিতে চাকরিপ্রার্থীরা জানান, বিসিএস উত্তীর্ণ কিন্তু ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত নয় এমন প্রার্থীদের বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তরের অধিযাচনের ভিত্তিতে প্রাপ্ত নন-ক্যাডার শূন্যপদে সুপারিশ করে থাকে।
চলমান বিসিএস নন-ক্যাডার সুপারিশ প্রক্রিয়া পরবর্তী বিসিএস এর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করার পূর্ব পর্যন্ত চলমান ছিল। ২৮তম বিসিএস থেকে ৩৮তম বিসিএস পর্যন্ত এই নিয়মেই পিএসসি নন-ক্যাডার পদে সুপারিশ করে আসছে। ৩৮তম বিসিএস থেকে প্রায় ৩ হাজার ৩০২ জন চাকরিপ্রার্থীকে বর্তমান কমিশনই এই নিয়মে নিয়োগ দেয়।
কিন্তু, সম্প্রতি নন-ক্যাডার সুপারিশের এই নিয়মে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন বিসিএস। এখন থেকে নন-ক্যাডার সুপারিশ করা হবে বিসিএস এর বিজ্ঞপ্তির তারিখওয়ারী। অর্থাৎ পরবর্তী বিসিএস এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত সরাসরি বিসিএস থেকে নিয়োগযোগ্য নন-ক্যাডার শূন্যপদ সংরক্ষণ করে সংখ্যা উল্লেখপূর্বক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পিএসসিতে পাঠাতে হবে এবং পিএসসি ওই বিসিএস এর বিজ্ঞপ্তিতে সেই নন-ক্যাডার পদগুলো উল্লেখ করে পরবর্তীতে উত্তীর্ণ নন-ক্যাডারদের সুপারিশ করবে।
আরও বলা হয়, ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডার নিয়োগের জন্য যদি বিজ্ঞপ্তির তারিখওয়ারী বিভাজন করা হয়, তাহলে উত্তীর্ণ ৮ হাজার ১৬৬ জন মেধাবী চাকরিপ্রার্থীর অধিকাংশ প্রার্থী সুপারিশ বঞ্চিত হবে, কারণ ৪০তম বিসিএস এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ১১/০৯/২০১৮ তারিখে এবং উক্ত তারিখ পর্যন্ত যত শূন্যপদ ছিল তার প্রায় সব পদেই ৩৭তম বিসিএস ও ৩৮তম বিসিএস নন-ক্যাডারদের সুপারিশ করা হয়েছে। এমনকি ৪০তম বিসিএস এর চূড়ান্ত রেজাল্ট প্রকাশের আগের দিন অর্থাৎ ২৯/০৩/২০২২ তারিখেও ৩৮তম বিসিএস এর প্রার্থীদের ৩৩৭টি পদে সুপারিশ করা হয়েছে। এখন সেই হিসেবে উক্ত তারিখ পর্যন্ত শূন্যপদে সুপারিশ করতে চাইলে আমাদের জন্য পদ নাই বললেই চলে।
মানববন্ধনে প্রার্থীরা জানান, করোনার কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪০তম বিসিএস এর প্রার্থীরা। কয়েক দফায় ভাইভা স্থগিত এবং ৪০তম বিসিএস এর মাঝে ৪২তম (বিশেষ) বিসিএসের নিয়োগ কার্যক্রম চলমান থাকায় সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ৪০তম বিসিএস। আমাদের অধিকাংশ প্রার্থীর সরকারি চাকুরির বয়স শেষ। তাছাড়া, বর্তমানে বয়সে ৩৯ মাস ছাড় দেওয়া হলেও তা বিসিএসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়ে দিয়েছে। ফলে নন-ক্যাডার নিয়োগের ক্ষেত্রে তারিখওয়ারী বিভাজন করলে সুপারিশ বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা তাদের।