বাকৃবি কৃষিকন্যা হলে সিঙ্গেল সিটের দাবি ছাত্রীদের, সড়ক অবরোধ
- বাকৃবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪০ AM , আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪০ AM

সিঙ্গেল সিটের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষিকন্যা আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হলসংলগ্ন প্রধান সড়কে অবস্থান নেন ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে তাঁরা হলে ফিরে যান।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘হলে হলে বৈষম্য চলবে না, চলবে না’, ‘সিঙ্গেল বেডে দুজন করে, থাকব না, থাকব না’সহ নানা ধরনের স্লোগান দেন। তাঁরা জানান, গত দুই বছর ধরে একজনের জন্য নির্ধারিত একটি বেডে দু’জন করে থাকছেন। গত ৩ মার্চ হল প্রশাসনের এক নোটিশে জানানো হয়, ৩৩টি সিঙ্গেল সিট খালি রয়েছে। এসব সিটের জন্য আবেদন নেওয়া হবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
এর আগেই নতুন ভবনের একটি কক্ষে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। শিক্ষার্থীদের বলছেন, যারা ডাবল সিটে থাকছেন, তাদের জন্য এখনো সিট বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। অথচ নির্ধারিত সময়ের আগেই সিনিয়রদের সিট দেওয়া হলো। এতে প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব স্পষ্ট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘দুই বছর ধরে একই বেডে দুজন থাকছি, এটা ভীষণ কষ্টকর। এতদিন স্যারের সব কথা মেনে চলেছি। কিন্তু আমাদের সিটের ব্যবস্থা না করেই কেন অন্যদের আগে সিট দেওয়া হলো-সে প্রশ্নের জবাব চাই।’
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ইতিপূর্বেও তাঁরা একাধিকবার প্রভোস্টের সঙ্গে দেখা করে সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। প্রভোস্ট বিভিন্নভাবে আশ্বাস দিলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
আরো পড়ুন: কৃষি গুচ্ছের নেতৃত্ব নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য উপাচার্যদের, ভাঙনের সুর
কৃষিকন্যা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তিনি উপস্থিত হতে পারছেন না। তবে রবিবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টার অফিসে বসে আলোচনা করবেন।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. সোনিয়া সেহেলী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো আমরা গুরুত্ব সহকারে শুনেছি। এখন এটার একটি স্থিতিশীল সমাধানের জন্য আমাদের একসাথে বসে আলোচনা করতে হবে। আজকে যেহেতু ভর্তি পরীক্ষা ছিল, তাই সব শিক্ষক ব্যস্ত ছিলেন। রাতারাতি কোনো কিছুর সমাধান হয় না।’ তিনি শিক্ষার্থীদের হলে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানান এবং পরে আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন।