৩ বস্তা ফুল চুরি করে পূজা, শাস্তি পেলেন বাকৃবির তিন শিক্ষার্থী
- বাকৃবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২১ AM , আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৯ PM
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শহীদ নাজমুল আহসান হল থেকে ৩ বস্তা ফুল চুরির অভিযোগে তিন শিক্ষার্থী শাস্তির মুখে পড়েছেন। ফুলগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের পেছনে ‘ভক্তি কুটির ইসকন মন্দিরে’ পুষ্পা অভিষেক পূজার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কাজী কামরুল ইসলাম সরেজমিন গিয়ে হলের ফুল শনাক্ত করেন।
এ সময় তিনি এক শিক্ষার্থীকে হাতেনাতে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যান। বাকি দুই শিক্ষার্থীকেও প্রক্টর অফিসে ডেকে আনা হয়। পরে তারা প্রভোস্টসহ প্রশাসনের লোকজন এবং সাংবাদিকদের সামনেই প্রক্টরের কাছে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরবর্তীতে এ ধরনের অপরাধ না করার অঙ্গীকারও করেন তারা।
শহীদ নাজমুল আহসান হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কাজী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে হলের গার্ডরা ফুল চুরির ঘটনা আমাকে জানান। পরে খোঁজ নিতে গিয়ে ইসকন মন্দিরে চুরিকৃত ফুল শনাক্ত করি। সেখান থেকে একজন শিক্ষার্থীকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসি। চুরির সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীরা হলের বাগান থেকে তিন বস্তা ফুল নিয়ে যায় এবং তা পূজার কাজে ব্যবহার করে। একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চুরি করা জিনিস দিয়ে করা যায় না।’
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধির ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শহীদ নাজমুল আহসান হলের একজন শিক্ষার্থীকে জরিমানা করা হয়। আর শহীদ শামসুল হক হলের অপর দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব না থাকায় তাদের হল থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন: বাকৃবির হলে গেস্টরুমে নবীনদের উদ্ভট শাস্তি, ২৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
শামসুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘আমার হলের দুই শিক্ষার্থী জড়িত থাকায় তাৎক্ষণিক তাদের রুম তালাবদ্ধ করা হয়েছে। হল ছাড়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম বলেন, ‘ধর্মীয় প্রার্থনা চুরি করা জিনিস দিয়ে হতে পারে না। অভিযুক্তরা পরিণত বয়সের শিক্ষার্থী। এটি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’