বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হয় না ‘জাতীয় কৃষি দিবস’

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

শীতের অগমনী বার্তা নিয়ে নিয়ে প্রকৃতিতে হাজির হয় অগ্রহায়ণ। এ সময় কৃষকরা মাঠের সোনালি ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়। নতুন ধানের চাল থেকেই শুরু হবে নবান্ন উৎসব। অগ্রহায়ণে ধান কাটার উৎসব গ্রামবাংলা তথা বাঙালির প্রাচীন ঐতিহ্য। বাংলার কৃষিকে উজ্জীবিত করতে জাতীয়ভাবে কৃষি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।   

বাংলাদেশের কৃষি দিবস পহেলা অগ্রহায়ণ। কৃষক ও কৃষিকে এগিয়ে নিতেই ২০০৮ সালের ১৫ নভেম্বর (১ অগ্রহায়ণ ১৪১৫) পালন করা শুরু হয় জাতীয় কৃষি দিবস। সেই থেকে প্রতিবছর কৃষি দিবস পালিত হয়ে আসছে। ‘কৃষিই কৃষ্টি, কৃষিই সমৃদ্ধি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় কৃষি দিবস পালন করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) জাতীয় কৃষি দিবস পালন করা হয়নি। এ বছরও পহেলা অগ্রহায়ণ (১৬ নভেম্বর) ঘিরে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

প্রাচীনকাল থেকেই আবহমান বাংলায় নতুন ধান ঘরে তোলার উৎসব পালিত হচ্ছে। হেমন্তের মাঝামাঝিতে গ্রামবাংলার ঘরেঘরে নতুন ধান ঘরে তোলাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় নবান্ন উৎসবটি। নবান্ন উৎসবকে অনেক বড় পরিসরে পালন করা হলেও কৃষি দিবসটি এখনও রয়ে গেছে অনেকের অজানা। দেশে কৃষি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিবসটি পালন করে থাকলেও বাকৃবিতে জাতীয় কৃষি দিবস পালনে কোনো সংগঠন এগিয়ে আসে নি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও দিবসটি পালনে আগ্রহ দেখায়নি।

কৃষি দিবস পালন না করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের খামার ব্যবস্থাপনা শাখার উপপ্রধান খামার তত্ত্বাবধায়ক মো জিয়াউর রহমান বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উপাদান কৃষি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো আগ্রহ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিম দিবস, দুধ দিবস পালন করা হয়। তবে মূল কৃষি দিবস পালন করা হয় না। ২০১৪ সালের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের খামার ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে নবান্ন উৎসব পালন করা হয়। এ সময় পিঠা উৎসব পালন করা হতো। তবে এখন আর হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিলেই কৃষি দিবস পালন করা সম্ভব।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো পর্যন্ত কৃষি দিবস পালন করা হয়নি। সরকারিভাবে নির্দেশনা না আসলে আমরা পালন করতে পারি না। তবে কৃষি অনুষদ, ডিন কাউন্সিল দিবসটি পালন করতে পারে। সরকারিভাবে পালন করা না হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাজেট দিতে পারে না। কৃষি দিবস পালন করতে হলে এক মাস আগে প্রস্তুতি নিতে হয়। আগামীতে দিনগুলোতে এই দিবস পালন হয়ত আলোর মুখ দেখবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, বাকৃবি কৃষিবিদ দিবস পালন করে থাকে। কৃষি দিবস এর আগে বাকৃবিতে পালন করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়নি। আগামী বছর থেকে বাকৃবিতে কৃষি দিবস পালন করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence